ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফরিদপুরে ছুটির দিনেও সরকারি অফিসে উড়ছে জাতীয় পতাকা

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২৪

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে শুক্রবার ছুটির দিনেও উড়েছে জাতীয় পতাকা। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার যথানিয়মে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অফিস করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অফিস শেষ করে সবাই চলে গেলে জাতীয় পতাকা আর নামানো হয়নি। সারা রাত উড়েছে পতাকা। শুক্রবার সারাদিন জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে অফিস শেষ করে জাতীয় পতাকা না নামিয়ে কর্তৃপক্ষ যে যার মতো করে চলে যায়। সারারাত পতাকা স্ট্যান্ডে লাগানো ছিল। বিষয়টি শুক্রবার সকালে সবার নজরে এলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।

নাম প্রকাচ্ছে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। জাতীয় পতাকার জন্য দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। অথচ এই পতাকার প্রতি এদের কোনো সম্মান নেই। কর্তৃপক্ষের এমন খামখেয়ালি উচিত হয়নি। আশা করি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে, যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে।

এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন উপজেলার কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে কেনা ও দুই লাখ মা-বোনের সম্মানের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করেছি। অথচ এই স্বাধীন দেশে এখনো সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকার প্রতি এরা সম্মান দেখাতে জানে না। কেন এরা এত উদাসীন? এরা কীভাবে সরকারি চাকরি করেন? স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও যদি শুনতে হয় সরকারি অফিসে ছুটির দিনে উড়ছে জাতীয় পতাকা, তাহলে কেন স্বাধীন করেছিলাম এই দেশ?

এ বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল বিন করিমের বক্তব্য জানতে মোবাইলে একাধিক কল করেও পাওয়া যায়নি। তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবিধি অনুযায়ী, সরকারি ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য কার্যদিবসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলিত থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দিবসে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। এছাড়াও সরকার ঘোষিত বিশেষ দিনেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে।

এন কে বি নয়ন/এফএ/এমএস