ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ধানমন্ডি ৩২

‘আমি জীবিত আছি, ভালো আছি’ বললেন লাঞ্ছনার শিকার ব্যক্তি

জেলা প্রতিনিধি | শেরপুর | প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২৪

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে হেনস্তার শিকার ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়ার ঘটনা সত্য নয়। তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বলেছেন, ‘আমি বেঁচে আছি, ভালো আছি’।

হেনস্তার শিকার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম আবদুল কুদ্দুস মাখন। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলার নারায়ণখোলা এলাকায়।

‘আমি জীবিত আছি, ভালো আছি’ বললেন লাঞ্ছনার শিকার ব্যক্তি

আবদুল কুদ্দুস মাখন ফোনে জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি প্রতিবছর শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২-এ তার বাসভবনে যাই। গতকাল সকালে আমি আমার বাসা থেকে বের হয়ে ধানমন্ডি ৩২-এ গেলে আমার ওপর তারা হামলা এবং অনেক মারধর করে। আমি বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক। বর্তমানে আমার কোনো পদবি নেই। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে ২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ নামে একটি সংগঠন করেছিলাম। আমরা এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্মৃতিচারণ করতাম। আমি ওই সংগঠনের একজন প্রতিষ্ঠাতা ছিলাম। পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ৯০ দশকে ময়মনসিংহ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। এটা আমাকে দিয়েছিলেন আলহাজ মতিউর রহমান প্রিন্সিপাল। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির লালন করি। আমাকে যারা গতকাল লাঞ্ছিত করেছে, আল্লাহ সবার সঠিক বিচার করবেন। আর আমি জীবিত আছি, ভালো আছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’

এদিকে মৃত্যুর গুজব নিয়ে তার বড় ছেলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ভিডিওতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন, উনার নাম আবদুল কুদ্দুস মাখন। আমি উনার বড় ছেলে সিরাজ উল কুদ্দুস ইমরান। আমার বাবা মারা যায়নি, এটা গুজব। আমার বাবা জীবিত আছেন। এখন পর্যন্ত অনেকটাই সুস্থ আছেন। তাকে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে মোবাইল ও সব টাকা নিয়ে গেছে। বাসায় তার চিকিৎসা চলছে। এখন আপনাদের যদি মনে হয় তাকে মেরে ফেলবেন, তাহলে বাসায় আসতে পারেন। আমাদের সবাইকে মেরে ফেলতে পারেন। আমাদের পরিবারের সবাই মরার জন্য প্রস্তুত...।’

‘আমি জীবিত আছি, ভালো আছি’ বললেন লাঞ্ছনার শিকার ব্যক্তি

বাবার লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়ে মামলা করার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে সিরাজ উল কুদ্দুস বলেন, ‘এখন যে পরিস্থিতি তাতে কোথাও সঠিক বিচার পাওয়া যাবে না। তাই এখন মামলা করে কোনো লাভ নেই। আমাদের একটাই কথা—আমার বাবা যেমন লাঞ্ছিত হয়েছে আর কেউ যাতে এরকম লাঞ্ছিত না হয়। দেশবাসীর কাছে আমার বাবার সুস্থতার জন্য দোয়া চাই।’

আবদুল কুদ্দুস মাখন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশার সঙ্গে রাজনীতি করতেন।

ইমরান হাসান রাব্বী/এসআর/এমএস