নোয়াখালী
স্বাস্থ্য সহকারীকে সরাতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম ছাত্রদের
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী আল আমিনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) আল আমিনকে ‘অনৈতিক কর্মকাণ্ডের হোতা’ আখ্যা দিয়ে সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তারা।
আল আমিন দীর্ঘ ১০ বছর কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। তিনি ইপিআইয়ের এমটি হিসেবে চলতি দায়িত্বও পালন করছেন।
নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুম ইফতেখার সন্ধ্যায় অভিযোগের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য সহকারী আল আমিন কবিরহাট উপজেলার ফরায়েজী বাজার এলাকার হাজী বাড়ির গোলাম কবিরের ছেলে।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজ এলাকায় চাকরির সুবাদে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় জমি দখল, দোকান দখল, বাজার ডাকের তদারকিসহ সহকর্মীদের সঙ্গে উশৃঙ্খল আচরণ করতেন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কবিরহাটের সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম, সালাউদ্দিন, মহসিন, আবু সুফিয়ান শিহাব মাহি বাদী হয়ে সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
আরিফুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকে আল আমিনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছে। তাকে না সরালে যে কোনো মুহূর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
এসব বিষয়ে জানতে আল আমিনকে ফোন দিলে তিনি অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি স্থানীয় এক সাংবাদিকের নাম বলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুম ইফতেখার জাগো নিউজকে বলেন, ছাত্রদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সহকারী আল আমিনকে শোকজ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৮ আগস্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
ইকবাল হোসেন মজনু/জেডএইচ/জিকেএস