পিলখানা হত্যাকাণ্ডে চাকরিচ্যুত বিডিআর জোয়ানদের বিক্ষোভ
ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর হত্যকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার পুনঃবিচার ও জোয়ানদের চাকরিতে পুনঃবহালের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেন জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যরা।
এসময় বি এম কামরুজ্জামান, মুরাদ আলী, সেলিম রেজাসহ চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যসহ তাদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও প্রদর্শন করেন তারা।
মানববন্ধনে সিপাহী (মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট) বি এম কামরুজ্জামান বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার নিজেদের ক্ষমতা হাসিলের জন্য বিদেশি শক্তির মাধ্যমে বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। এর দায়ে জোয়ানদের জেল-জরিমানা এবং চাকরিচ্যুত করা হয় অবৈধভাবে। সেই হত্যাকাণ্ডের পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।
চাকরিচ্যুত এই সিপাহী অভিযোগ করেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাহারা খাতুন, শেখ ফজলে নুর তাপস ও শেখ সেলিম। সেসময় আমাদের জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে জেলখানায় নির্যাতন করা হয়েছে।
‘সেসময় যে সিনিয়র সেনা অফিসাররা বেঁচে ছিলেন, তারা বলেছিলেন সেনাবাহিনী থেকে একটি অ্যাশ কালারের গাড়ি পিলখানায় ঢুকেছে। ওইসময় ভারত থেকে একটি ফ্লাইট বাংলাদেশে আসে এবং হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তারা আবার স্পেশাল ফ্লাইটে ভারতে চলে যান। বাইরের দেশে লোক ঢুকে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিল। সেই গাড়িতে ভারতের কারা ছিল সেটিও তদন্ত করে বের করা হোক’, বলেন বি এম কামরুজ্জামান।
মানববন্ধনে অন্যান্য চাকরিচ্যুত জোয়ানরা বলেন, আমাদের সন্তানরা কোথাও চাকরি পায় না। যদি শোনে চাকরিচ্যুত জোয়ানের সন্তান, তাহলে কোনো কাজে অংশ নিতে দেওয়া হয় না। চাকরি হারিয়ে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। অনেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছেন। এতদিন প্রতিবাদ করতে পারিনি। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি এ ঘটনার যেন সঠিক বিচার করা হয়।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসআর/জেআইএম