ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শরীয়তপুরে শিবির-ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে ছাত্রদলের হাতাহাতি

জেলা প্রতিনিধি | শরীয়তপুর | প্রকাশিত: ০৬:২০ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৪

শরীয়তপুরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবির ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে ছাত্রদলের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ধানুকা এলাকায় কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার দাবিতে দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে দিতে কলেজের মূল গেট দিয়ে বের হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এলে তাদের গতিরোধ করেন ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা। এসময় তারা বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রদলকে কেন নেওয়া হয়নি জানতে চান এবং ছাত্রদলকে সঙ্গে রাখতে বলেন।

তবে মিছিলরত শিক্ষার্থীরা তাদের কথা উপেক্ষা করে পুনরায় মিছিল করতে শুরু করলে ছাত্রদল কর্মীরা পুনরায় মিছিলটিকে থামিয়ে শেখ লুৎফুর রহমান ভবনের সামনে নিয়ে যান। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে কলেজের ছাত্রদল নেতা শাহীন ঢালী ও শিবির নেতা সাখাওয়াতের চেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র অধিকার পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি জীবন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ছাত্রদলের কর্মীদের থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেননি। মূলত তারা একাই কলেজে আধিপত্য বিস্তার করতে চান। পরে আমরা মিছিল বের করলে ছাত্রদল তাতে বাধা দেয়।’

জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাখাওয়াত কাউসার বলেন, ‘ছাত্রদল নেতারা পুরো কলেজ একাই নিয়ন্ত্রণ করবেন। তাই তারা আমাদের মিছিলে বাধা দিয়েছেন।’

ইমরান আল নাজির নামের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব শিক্ষার্থীর প্ল্যাটফর্ম। এখানে কোনোভাবেই ছাত্রদল বাধা দিতে পারে না। তারা যদি এভাবে বাধা দেন, তাহলে তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো তফাৎ রইলো না।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ শাখা ছাত্রদল নেতা শাহীন ঢালী বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের প্রোগ্রামটি করার কথা ছিল। কিন্তু ছাত্রশিবির আর ছাত্র অধিকার পরিষদের কিছু ছেলেপিলে হঠাৎ করে এসেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার নিয়ে বের হয়ে পড়ে। যাদের মধ্যে কোনো সমন্বয়ক ছিল না। আমরা ওদের কাছে জানতে চাইলে কথা-কাটাকাটি হয়। তবে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।’

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাইনি। যদি কেউ অভিযোগ করেন তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

বিধান মজুমদার অনি/এসআর/জিকেএস