সুনামগঞ্জ
সরবরাহ কমে নাগালের বাইরে সবজির দাম
সুনামগঞ্জের বাজারগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সবজির দাম। গত ২০ দিনে প্রায় প্রতিটি সবজির কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। ফলে সবজি কিনতে এসে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত মানুষদের।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন জেলরোড এলাকার সবজির বাজারে স্থানীয় থেকে শুরু করে রাজশাহী, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল, মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সবজির সরবরাহ হয়। যার ফলে সবজি কেন্দ্রিক এই বাজারে প্রতিদিন বেচাকেনা ছিল প্রায় ২০ লাখ টাকা। সেইসঙ্গে সবজির দামও ছিল ক্রেতাদের নাগালের ভেতর। কিন্তু তিনদফা বন্যায় সুনামগঞ্জে ১২ মাসী বিভিন্ন জাতের প্রায় ৭০০ হেক্টর সবজির ক্ষতি হয়। যার প্রভাব পড়ে জেলার এই বড় বাজারে।
সেইসঙ্গে দেশব্যাপী কারফিউ জারির পর বিভিন্ন জেলা থেকে গাড়িপথে সুনামগঞ্জের সবজি আসা বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে সরবরাহ কমে যাওয়ায় জেলার হাট বাজারগুলোতে দেখা দেয় চরম সবজি সংকট। তবে বাজারে বর্তমানে যে সবজি বিক্রি হচ্ছে সেগুলোর দামও আকাশছোঁয়া।
বিশেষ করে করলা, বেগুন, শসা, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গাসহ প্রতিটি সবজির প্রকারভেদে কেজি প্রতি প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। এতে সবজি কিনতে এসে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষরা।
সবজি কিনতে আসা হুমায়ুন মিয়া বলেন, প্রতিনিয়ত বাজারে সবজির দাম বাড়ছে। আলুর কেজি হয়ে গেছে ৬৫ টাকা। অন্য সবজির দামও আকাশছোঁয়া। এইভাবে সবজির দাম বাড়তে থাকলে সবজি খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
সবজি কিনতে আসা রাজিব মিয়া বলেন, বাজারে সবজির কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় সবজি না কিনেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।
এদিকে তিনদফা বন্যা ও কারফিউয়ের প্রভাবে বাজারে সবজির সরবরাহ কম হওয়ায় প্রতিনিয়ত লোকশানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। যার ফলে বেশি দামে সবজি বিক্রি করেও লাভের মুখ দেখতে পারছেন না তারা।
সুনামগঞ্জের সবজি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নূর মিয়া বলেন, বাজারে প্রতিনিয়ত সবজি সংকট দেখা দিচ্ছে। যার ফলে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেইসঙ্গে কারফিউয়ের কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় আমাদেরকেও লোকশানের মুখে পড়তে হচ্ছে।
লিপসন আহমেদ/এফএ/এমএস