শেরপুরে গাড়িচাপা ও গুলিতে পাঁচ শিক্ষার্থী নিহত
শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রোববার পাঁচ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন নিহত হয়েছেন গাড়িচাপায় এবং দুজন গুলিতে। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আন্দোলন ঘিরে জেলায় ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও জেলা শহরের বাসিন্দা তুষার (২৪), আইটি উদ্যোক্তা ও কলেজ শিক্ষার্থী জেলা সদরের পাকুরিয়া চৈতনখিলা এলাকার মাহবুব আলম (২১), ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া এলাকার শারদুল আশিস সৌরভ (২২), শ্রীবরদী উপজেলার রূপারপাড়া এলাকার সবুজ হাসান (২০) এবং জেলা সদরের মিম আক্তার (১৮)।
বিকেল ৩টা থেকে আন্দোলনকারীরা শহরের খোয়ারপাড়, শেরপুর সরকারি কলেজ গেট ও খড়মপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন। একপর্যায়ে খড়মপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের টহল গাড়ি দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়ার সময় চাপা দিলে কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এরপর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা যান মিম আক্তার ও সবুজ।
এদিকে হতাহতের পর বিক্ষোভকারীরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এর মধ্যে পুলিশ সুপারের বাসভবন, সিভিল সার্জনের বাসভবন, পুলিশ সুপার শপ, খোয়ারপাড় পুলিশ বক্স, সদর থানা, আনসার ক্যাম্প, ফায়ার সার্ভিসসহ জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, আলীশান রেস্টুরেন্টে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শহরে চরম থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ইমরান হাসান রাব্বী/বিএ/কেএসআর