মাছের উৎপাদন বাড়লেও দাম চড়া
মৎস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত সিরাজগঞ্জ। এ অঞ্চলে কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে মাছের উৎপাদন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ৭২ হাজার ৯৯৩ টন হলেও বিদায়ি অর্থবছরে এ উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৭৭ হাজার ৬৫৮ টন। যা জেলার চাহিদার তুলনায় ৪ হাজার ১২৫ মেট্রিক টন বেশি। তবে বাজারে মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণহীন।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে জেলা মৎস্য বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারি ১ হাজার ১৯৪ ও ব্যক্তিগত ১৭ হাজার ৬৪১টি পুকুর এবং দীঘিতে মাছচাষ হয়। যাতে উৎপাদন হয় মোট ৭৭ হাজার ৬৫৮ টন মাছ। যা চাহিদার বিপরীতে ৪ হাজার ১২৫ টন বেশি। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭২ হাজার ৪২৮ টন মাছ উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসেবে বছরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৪ হাজারেরও বেশি।
জানা যায়, জেলায় ১৭ হাজার ৯৪৫ জন মৎস্যচাষি রয়েছেন। এছাড়া মৎস্যজীবী রয়েছেন ২৬ হাজার ৮৪০ জন। ৫২টি মৎস্য আড়তের মাধ্যমে জেলায় মাছের বাজারজাত করা হয়। জেলাজুড়ে দৈনিক ও সাপ্তাহিক ৩০০ এর বেশি বাজারে মাছ বিক্রি হয়।
সিরাজগঞ্জ শহরের রিকশাচালক আব্দুল কাদের জাগো নিউজকে বলেন, আগে সপ্তাহে এক-দুইবার তেলাপিয়া না হইলে পাঙ্গাশ মাছ কিনতাম। এখন সেগুলোও আর ঠিকভাবে কিনতে পারি না। তাকে রিকশা চালিয়ে প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিতে হয়। এ কিস্তি দেওয়ার পর যে টাকা থাকে তা দিয়ে তেলাপিয়া মাছও কেনা হয় না।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রঞ্জু সেখ বলেন, শহরে প্রাইভেট পড়িয়ে মেস থেকে পড়ালেখা করছি। বছর ব্যবধানে মাসিক দেড় থেকে দুই হাজার টাকা খরচ বেড়ে গেছে। আগের তুলনায় মাছভেদে কেজি প্রতি ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, জেলায় মাছের উৎপাদন বাড়ছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ও মৎস্যখাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে মাছচাষি ও জেলেদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা, পরামর্শ প্রদান এবং বিভিন্ন সভা-সেমিনার আয়োজন করে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
এতে উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে দামেও কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পরে বলে দাবি করেন তিনি।
এম এ মালেক/জেডএইচ/জেআইএম