মিরসরাই
পানি জমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার যানজট
মিরসরাইয়ের সোনাপাহাড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে পানি উঠেছে। সড়কে পানি জমে পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কের আরশিনগর ফিউচার পার্ক থেকে জোরারগঞ্জ রাস্তার মাথা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। সড়ক ডুবে যাওয়া চলাচলরত যানবাহনগুলো চলছে ধীর গতিতে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। যানজট সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়কের যাত্রীরা।
সরেজমিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর সোনাপাহাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আরশিনগর ফিউচার পার্ক থেকে জোরারগঞ্জ রাস্তার মাথা পর্যন্ত সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। প্রায় হাঁটু পরিমাণ পানি জমেছে সড়কে। সড়কের পাশে স্থানীয় শিশু ও যুবকরা খেলা করছে। সড়কে পানি জমায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট। চিনকি আস্তানা রেল স্টেশন থেকে মামা ফকিরের আস্তানা পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় হাফেজ আলা উদ্দিন বলেন, অপরিকল্পিতভাবে কৃষি জমিতে শিল্পকারখানা গড়ে উঠায় পানি নিষ্কাসনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাই একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। বুধ ও বৃহস্পতিবারের ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী পরিবহন উত্তরা সার্ভিসের চালক নজরুল ইসলাম বলেন, বারইয়ারহাট থেকে বেলা পৌনে ১১ টার দিকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। একটু এগিয়ে চিনকি আস্তানা এলাকায় গিয়ে দেখি যানজট। প্রায় ৪৫ মিনিট যানজটে থাকার পর সোনাপাহাড় এলাকায় ডুবে থাকা সড়ক পাড়ি দিয়ে মিরসরাই এসে পৌঁছেছি। ২০ মিনিটের পর আসতে সময় লেগেছে প্রায় ১ ঘণ্টা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল সরকার বলেন, সোনাপাহাড় এলাকায় সড়কে পানি উঠায় যানবাহনগুলো একটু ধীর গতিতে চলতে গিয়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পানি নেমে গেছে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এম মাঈন উদ্দিন/আরএইচ/এএসএম