ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চোখেই পড়ে না বাবুই পাখির সেই শৈল্পিক বাসা

প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৬

‘বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থাকি কর শিল্পের বড়াই। আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকার পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝড়ে। বাবুই হাসিয়ে কহে সন্দেহ কি তাই। কষ্ট পাই তবু মোর নিজের বাসা। নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর খাসা।`

কবি রজনীকান্ত সেনের কালজয়ী এ কবিতা মনে হলেই, চোখের সামনে ভেসে ওঠে তালগাছের মাথায় বাবুই পাখির শত শত বাসা বাঁধার দৃশ্য আর তাদের কিচির মিচির শব্দ।

ছড়ার নায়ক বাবুই পাখি এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছের পাতায় দেখা যায় না বাবুই পাখির শৈল্পিক বাসাও।Manikganj-Baby

এক সময় গ্রামের রাস্তার ধারে, পুকুর কিম্বা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় প্রতিটি তালগাছেই বাবুই পাখির বাসা চোখে পড়ত। দৃষ্টিনন্দন বাসা তৈরিতে ব্যস্ত থাকতো বাবুইগুলো। কিন্তু গ্রামের তালগাছ এখন প্রায় বিলুপ্ত। হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখিও।

বিলুপ্ত প্রায় তালগাছ আর তাতে বাবুই পাখির বাসার সন্ধান মিলেছে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার প্রত্যন্ত বড়রিয়া গ্রামে। নিচু রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত ভিটায় একটি তালগাছে বাবুই পাখির কিচির মিচির শব্দে কিছুক্ষণের জন্য হলেও থমকে দাঁড়ায় অনেকে। দেখেন শিল্পমনা বাবুই পাখির আপন মনে বাসা তৈরির দৃশ্য।

স্থানীয় বাবুল মুন্সি জানান, এক সময় গ্রামে অনেক তাল গাছ দেখা যেত। আর তাতে ছিল বাবুই পাখির বাসা। অনেক ভালো লাগত সে দৃশ্য। কিন্তু তালগাছ কেটে এখন সবাই ফল আর কাঠের গাছ রোপন করছে। আর তাই তালগাছের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে বাবুই পাখিও।

Manikganj

স্থানীয় কলেজছাত্রী পাপিয়া জানান,বাবুই পাখির কিচির-মিচির শব্দ তার খুব ভালো লাগে। বাসা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই আসেন। ছবি তুলেন। বাসা ও বাবুই পাখির কোনো ক্ষতি করতে দেন না তারা।

একাধারে শিল্পী, স্থপতি এবং বন্ধনের প্রতিচ্ছবি শিল্পমনা বাবুই পাখি আর তালগাছ বিলুপ্তির কারণ হিসাবে পরিবেশ বিপর্যয়কেই দায়ি করছেন পরিবেশ কর্মী অ্যাড. দীপক ঘোষ।

তিনি জানান,পাখি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পাখি হারিয়ে গেলে পরিবেশের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রতিবেশও।

বি.এম খোরশেদ/এআরএ/এবিএস