শেষ সময়েও ক্রেতাশূন্য খুলনার বৃক্ষমেলা
একটি গাছ কাটলে কমপক্ষে ৩টি গাছ লাগাতে হবে। এমন উদ্যোগ মাথায় রেখেই মূলত বাংলাদেশে প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনায়ও প্রতিবছর বৃক্ষমেলা আয়োজিত হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।
গত ১৬ জুলাই খুলনা সাকির্ট হাউজ মাঠে ১৫ দিনব্যাপী বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ। খুলনা জেলা প্রশাসন ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ মেলা চলছে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের স্টলসহ মেলায় মোট ৫৫টি স্টল রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিক্রি হচ্ছে।
গতবছর বৃক্ষমেলায় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৭০ হাজার ৮৬০টি গাছের চারা বিক্রি হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৮০ লাখ টাকা। কিন্তু এবারের চিত্রটি একটু ভিন্ন।
মেলা ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কোনো কোনো স্টল মালিক বলছেন, এবারের বেচাকেনা বেশ ভালো, আবার কেউ বলছেন এখন পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে তিন হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। আশানুযায়ী ক্রেতা নেই মেলায়। কারণ হিসেবে কোটা আন্দোলনকে দায়ী করছেন তারা। আবার কেউ বলছেন, বন্ধের দিনে কিছু ক্রেতা মেলায় আসছেন এবং সেদিনের বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে। তবে মেলায় গাছের চারার কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন তারা।
এ সময় তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী ৩০ জুলাই মেলা শেষ হবে। তবে এর মধ্যে দেশে আর কোনো আন্দোলন বা নৈরাজ্য সৃষ্টি না হলে আগামী দিনগুলোতে ভালো বিক্রি হবে।
মেলায় গাছের চারা কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, গাছা পরিবেশ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে আমাদের অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে। তাই আমাদের সবার উচিৎ গাছ লাগানো। যার যতটুকু খালি জায়গা রয়েছে সেখানেই বৃক্ষরোপণ করতে হবে, এক ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা রাখা যাবে না। সকল মানুষকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাই সকলের মেলায় এসে গাছের চারা ক্রয় করার আহ্বান জানান তিনি।
আলমগীর হান্নান/এফএ/জেআইএম