ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রিমালের তাণ্ডব

দুই মাসেও চালু হয়নি রায়েন্দা-মাছুয়া ফেরিঘাট

জেলা প্রতিনিধি | বাগেরহাট | প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বাগেরহাটের শরণখোলায় ‘রায়েন্দা-মাছুয়া’ ফেরিঘাট ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর দুই মাস হতে চললো এ ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল শুরু হয়নি।

শরণখোলা ও মঠবাড়িয়ায় যোগাযোগ রক্ষাকারী একমাত্র ঘাট এটি। ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ২৭ মে এ ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চালু হয়নি এটি।

ফলে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা ভোগান্তিতে পড়েছেন। ফেরিঘাট থেকে কিছু দূরে বিকল্প হিসেবে ট্রলারঘাট থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করতে হচ্ছে। আর ভ্যান, পিকআপ, নছিমন ও ট্রাক পারাপার করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দ্রুত ঘাট সংস্কার করে ফেরি চালুর দাবি জানান তারা।

সড়ক বিভাগ বলছে, সংস্কার কাজের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।

মাছুয়া এলাকার ইমরান গাজী বলেন, আসলে ফেরিটি যে কত উপকারী ছিল আমাদের জন্য তা এখন বুঝতে পারছি। ফেরি বন্ধ থাকায় ঈদের সময় অনেকেই আত্মীয় বাড়িতে যায়নি। আবার রায়েন্দা থেকে কেউ আসেনি এলাকায়। দ্রুত ফেরি চালু করা দরকার। অন্যথায় আমাদের ভোগান্তি আরও বাড়বে।

ফেরিঘাটের পাশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হালিম শেখ বলেন, ফেরি চালু হওয়ার পর ঘাটের পাশে দোকান দিয়ে মোটামুটি সংসারটা চালিয়ে নিচ্ছিলাম। কিন্তু ২৫ দিন ধরে বন্ধ ফেরি।

রায়েন্দা এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, রিমালে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে সব থেকে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে ঘাটটি নষ্ট থাকায়। জরুরি প্রয়োজনেও যেতে পারছি না। ট্রলারে যেতে ৫০-১০০ টাকা দিতে হয়।

মৌ প্রিয়া নামের এক গৃহিণী বলেন, ফেরিটি আমাদের জন্য আশীর্বাদ ছিল। কিন্তু বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছি। কবে ঠিক হবে জানি না।

বোরহানউদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, এই ফেরি দিয়েই আমরা গরু-ছাগল মঠবাড়িয়া নিয়ে বিক্রি করতাম। কিন্তু ফেরি বন্ধ থাকায় কোরবানির সময় পশু নিতে পারিনি। আবার মঠবাড়িয়ার লোকজন শরণখোলায় আসতে পারেনি। এটা একটা ভোগান্তি।

সড়ক বিভাগের বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ফেরির পল্টুন, ঘাট ও পাশের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু জায়গা একেবারে ওয়াশআউট হয়ে গেছে। এটি সংস্কারের প্রস্তাব ও অর্থ বরাদ্দের প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করবো।

জেডএইচ/জিকেএস