ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চিংড়ি রপ্তানি

ইন্টারনেট অচলে শত কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক | খুলনা | প্রকাশিত: ১১:৪৫ এএম, ২৬ জুলাই ২০২৪

ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলন, এরপর ইন্টারনেট অচল, কারফিউ- সব মিলিয়ে পিছিয়ে গেছে এক হাজার টন হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি। নির্ধারিত সময়ে রপ্তানি করতে না পারায় ক্রেতা হারানোর শঙ্কায় ভুগছেন খুলনার চিংড়ি রপ্তানিকারকরা। একই সঙ্গে সিপমেন্ট পিছিয়ে যাওয়ায় ব্যাংক ঋণের বাড়তি সুদ, বাড়তি বিদ্যুৎ বিল এবং এক কাজের জন্য শ্রমিকদের মজুরি দ্বিতীয়বার গুনতে হবে বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। এতে খুলনার ৩২ রপ্তানিকারক ১০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়বেন।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) নির্বাচিত পরিচালক এম হুমায়ূন কবীর বলেন, বর্তমানে চিংড়ি মাছের ভরা মৌসুম। বিশেষ করে বাগদা চিংড়ির এ সময়ে আমরা রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়েছি। আমাদের এই ব্যবসা এখন পুরোপুরি ইন্টারনেটভিত্তিক। নেট না থাকায় ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের এ সময়ের মধ্যে যদি আমাদের বায়াররা (বিদেশি ক্রেতা) তাদের চাহিদা পূরণ করতে অন্য দেশ থেকে মাছ কিনে নেন, তাহলে আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ৩২ জন চিংড়ি রপ্তানি করেন। চলতি মাসে অচলাবস্থার কারণে তাদের ৬০ কনটেইনার হিমায়িত চিংড়ি জাহাজীকরণ করতে পারেননি। এই ৬০ কনটেইনারে এক হাজার মেট্রিক টনের বেশি চিংড়ি তাদের ঘরে রাখতে হয়েছে। এতে চিংড়ি প্রক্রিয়াজাত কারখানাগুলোর গোডাউন পূর্ণ হয়ে গেছে। মাছ রাখার জায়গা তেমন নেই। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে মাছ কেনাবেচা ও পরিবহনের ওপর কারফিউ শিথিল থাকলেও, জায়গা না থাকায় চলতি মাসের বাকি দিনগুলো এবং আগস্ট মাসের প্রথম দিকেও কেউ মাছ কিনতে পারবে না। তাই আগে চিংড়ি কেনা হলেও বিক্রেতাদের বিল পরিশোধ করা যায়নি। ফলে মাছ কোম্পানি থেকে শুরু করে খামারি পর্যন্ত সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

বিএফএফইএ’র প্রেসিডেন্ট কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা বিদেশিদের সঙ্গে নেটে যোগাযোগ করি। তাদের সঙ্গে লেনদেন হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম। এখনো নেট ভালো হয়নি। ফলে আমাদের রপ্তানিযোগ্য পণ্য ঘরেই পড়ে রয়েছে। এতে শত কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

প্রিয়ম সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক আব্দুল কাদের বলেন, মাছ রপ্তানি করতে না পারায় খুলনার অনেকে লোকসানের মুখে পড়বেন, যা শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এই লোকসান কাটিয়ে ওঠার তেমন কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কোম্পানিগুলোতে চিংড়ি আসার অনেকগুলো প্রক্রিয়া রয়েছে। এই প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। ইন্টারনেট ঠিক না হলে প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হবে না।

আলমগীর হান্নান/জেডএইচ/জেআইএম