যশোরে পাচার-মুক্তিপণ মামলায় ৪ জনের নামে চার্জশিট
যশোরে যুবককে লিবিয়ায় পাচার ও মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় চারজনের নামে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। বুধবার (২৫ জুলাই) বিকেলে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লিটন কুমার দাস।
অভিযুক্তরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন, তার দুই ছেলে ইকবাল হোসেন ও বিপ্লব হোসেন এবং ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার দিলপুর গ্রামে কামরুল উদ্দিন।
মামলার বাদী যশোর সদর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের বাসিন্দা শওকত আলী।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের বিপ্লব হোসেন ১০ বছর ধরে লিবিয়ায় বসবাস করেন। বিপ্লব হোসেন মাঝেমধ্যে লিবিয়ায় লোক নিতেন। ২০২২ সালে বিপ্লব হোসেন লিবিয়ায় লোক নেওয়ার কথা বলে তার বাবা ও ভাই সুমনের পরিবারকে জানায়। সুমনের বাবা তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে ছেলেকে লিবিয়াতে পাঠাতে আসামিদের সঙ্গে সাড়ে চার লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন। ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর আসামিরা সুমনকে বাড়ি থেকে ঢাকায় নিয়ে লিবিয়ায় পাঠান। সুমন লিবিয়াতে পৌঁছানোর পর পরিবারকে জানায়।
২৮ ডিসেম্বর বিপ্লব হোসেন লিবিয়ার ত্রিপলি শহর থেকে সুমন হোসেনকে কৌশলে সন্ত্রাসীদের দিয়ে আটকে রাখেন। পরে সুমনের বাড়িতে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে বলেও জানানো হয়। সুমনের পরিবার নিরুপায় হয়ে জমি বিক্রি করে বিপ্লবের দেওয়া বাংলাদেশি একটি একাউন্টে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার টাকা জমা দেয়। এরমধ্যে সুমন সন্ত্রাসীদের জিম্মি দশা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে আশ্রয় নেন। পরে বাংলাদেশ দূতাবাস সুমনকে দেশে ফেরত পাঠায়।
২০২৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর কোতয়ালি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী সুমন হোসেনের বাবা শওকত আলী। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনের নামে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত কামরুল উদ্দিন ও বিপ্লব হোসেনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
মিলন রহমান/আরএইচ/এমএস