বরিশালে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে আহত ১৫
কোটা সংস্কারের দাবিতে বরিশালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য ও ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে দফায় দফায় সংঘর্ষ শেষে একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পিছু হটে।
এর আগে সকাল থেকে ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে বেলা ১১টায় আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাস্তায় নামতে গেলে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছোড়ে। পরে আন্দোলনকারীরা রাস্তায় নামতে গেলে সংঘাত শুরু হয়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তারা। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।
পরে পুলিশ ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী খয়রাবাদ ব্রিজে সরে গেলে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক দখলে নেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দলের সাহায্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৈষম্যমূলক কোটাবিরোধী আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা নাঈম উদ্দিন মিষ্টু বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ আজ দেখেছে কীভাবে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে রাস্তা দখলে নিতে হয়। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও কোনো জানমালের যাতে ক্ষয়ক্ষতি না হয়, সেদিক বিবেচনা করে আমরা হাত তুলে সারেন্ডার করে চলে যাই।’
শাওন খান/এসআর/জিকেএস