ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পর্নোগ্রাফি মামলা

নোয়াখালীর সেই প্রকৌশলীসহ চার শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

জেলা প্রতিনিধি | নোয়াখালী | প্রকাশিত: ০৮:৪৩ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২৪

নোয়াখালীতে পর্নোগ্রাফি মামলায় কারাগারে থাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এক উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় এলজিইডির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনসুর আলী বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ৯ জুলাই এক শিক্ষকের করা পর্নোগ্রাফি মামলায় ওই পাঁচ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানার নির্দেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী ভূঁইয়া।

আসামিরা হলেন হাতিয়া উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম (৪০), একই উপজেলার জাহাজমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন (৫২), মধ্য রেহানিয়া আবদুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর উদ্দিন তানবীর (৩৫), ম্যাক পার্শ্বান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিন্নাত আরা বেগম (৩৫) ও হাসান উদ্দিন বিপ্লব (৩৮, সাময়িক বরখাস্ত)। এরমধ্যে প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম ও শিক্ষক জিন্নাত আরা বেগম সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।

নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, হাতিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম কারাগারে থাকার প্রতিবেদন দেওয়ার পর প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। ৯ জুলাই থেকে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে।

আরও পড়ুন:

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনসুর আলী জাগো নিউজকে বলেন, প্রধান শিক্ষক নুর উদ্দিন তানবীর ও আমির হোসেনকে চট্টগ্রাম উপপরিচালকের কার্যালয় থেকে এবং সহকারী শিক্ষক জিন্নাত আরা ও হাসান উদ্দিন বিপ্লবকে জেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট গুলজার আহমেদ জুয়েল বলেন, আসামিরা এক শিক্ষিকার মোবাইল হ্যাক করে তার ব্যক্তিগত আপত্তিকর ছবি চুরি করে একে অপরের মাধ্যমে প্রচার করেন। এ ঘটনায় মামলার পর উচ্চ আদালত আসামিদের জামিন দেন। জামিন শেষে নিম্ন আদালতে আবার জামিন চাইলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব শিক্ষকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে নোয়াখালীর সুধারাম (সদর) থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ (আইসিটি) আইনে মামলা করেন হাতিয়ার ম্যাক পার্শ্বান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মামুন অর রশিদ। ওই মামলার ১ নম্বর আসামি সদর উপজেলার মাইজভান্ডার শরীফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুমাস কারাভোগের পর এখন তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে। বাকি আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন শেষে ৯ জুলাই নোয়াখালী জজ আদালতে হাজির হন।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ৫ জুন পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি আমজাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি আসামিরাও আদালতের নির্দেশে কারাগারে আছেন। মামলার তদন্ত চলছে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/এএসএম