স্কুল সরকারি, কিন্তু
ঠাকুরগাঁওয়ে দ্বিতীয় দফায় ৪৭টি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হলেও নেই বসার ব্রেঞ্চসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও শিক্ষা উপকরণ। ভাঙাচোড়া ক্লাসরুমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম।
এছাড়াও এখনো সদর উপজেলার দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি চালু না হওয়ায় স্কুল ছাড়ছে শিক্ষার্থীরা, বেতন-ভাতা এখনো না জোটায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন শিক্ষকরা।
সরকারের ঘোষণায় প্রথম পর্যায়ের পর দ্বিতীয় ধাপে ঠাকুরগাঁওয়ের আরো ৪৭টি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে গেল বছরের পহেলা জুলাইয়ে জাতীয়করণ করা হয়। কিন্তু, স্কুলগুলো জাতীয়করণ হলেও সরকারের সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
নতুন জাতীয়করণ হওয়া জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহৎ আলম জানান, শিক্ষকরা বেতন-ভাতা না পাওয়ায় পাঠদানে অমনোযোগী হচ্ছেন। শিক্ষকদের দ্রুত জাতীয়করণের আওতায় আনতে সরকারের কাছে দাবি করেন তিনি।
জেলা প্রাথমিক মনিটরিং অফিসার মোমিনুল হক জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত দুটি নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উপ-বৃত্তির আওতায় আসেনি। স্কুল দুটির প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
তবে এ বিদ্যালয়গুলো সরকারের সকল সুবিধা অচিরেই পাবে বলে মন্তব্য করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হারেছ।
তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা ৫টি উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ৪৭টি বে-সরকারি বিদ্যালয় জাতীয়করণের আগে প্রথম ধাপে ৪৮৯টি বিদ্যালয় সরকারিকরণ করা হয়। তৃতীয় ধাপের জন্য আরো ২১ বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।