চাল আমদানি নয় ভবিষ্যতে রপ্তানি করবো: খাদ্যমন্ত্রী
চাল আমদানি নয় ভবিষ্যতে আমরা চাল রপ্তানি করবো বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, গত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।
রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি প্রণোদনা দিয়ে, ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তি বান্ধব করতে নিরলস করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা বিতরণ করা হচ্ছে সেটার সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ হবে আর উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।
সাধন চন্দ্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি হয়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশীর্বাদ। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে।
পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না। দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর পণ্যের দাম কমলে কৃষকের সমস্যা। উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, ওএমএস ও টিসিবির ভর্তুকি মূল্যে চাল-আটা বিক্রি করা হচ্ছে।
এর আগে তিনি সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্বরে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অফিসার মো. মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন এবং শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন। প্রণোদনা হিসেবে এক হাজার ২১০ জন কৃষকের প্রত্যেকে পাঁচ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা বিতরণ করা হয়।
মশিউর রহমান/আরএইচ/জেআইএম