ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নেত্রকোনা

স্বামীকে তালাক দেওয়ায় স্ত্রীর ওপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি | নেত্রকোনা | প্রকাশিত: ০৯:১৯ এএম, ০৬ জুলাই ২০২৪

নেত্রকোনার কেন্দুুয়ায় তালাক দেওয়ার খবরে ক্ষুব্ধ স্বামী স্ত্রীর গায়ে এসিড নিক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার কান্দিউড়া ইউপির ব্রাম্মনজাত গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় দেড়যুগ আগে জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ব্রাম্মনজাত গ্রামের ফজলুর রহমান খানের মেয়ে হাফসা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার মাসকা ইউপির মাসকা গ্রামের মৃত জুবেদ আলীর ছেলে হুমায়ুন কবির বাকির বিয়ে হয়। বিয়ে কিছুদিন পরই তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এভাবেই কেটে যায় প্রায় ১৭ বছর।

কলহের জেরে গত ঈদের পরের দিন হাফসা আক্তার তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন। বৃহস্পতিবার কাজী অফিসে গিয়ে স্বামীকে তালাক দেন। এ খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ স্বামী বাকি শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে স্ত্রীর ওপর এসিড নিক্ষেপ করেন বলে অভিযোগ করেছেন হাফসার পরিবারের সদস্যরা।

এ ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কেন্দুুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ভুক্তভোগী হাফসা আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকে তার স্বামীর শারীরিক সমস্যা। ১৭ বছরের দাম্পত্যজীবনে তাদের কোনো সন্তান নেই। তাকে বারবার বলার পরও চিকিৎসা করে না। উল্টো মারপিট করে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার দেনদরবার হয়েছে। চেষ্টা করেও তার সঙ্গে সংসার করতে চাইলে তার আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে বৃহস্পতিবার নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তালাকনামা রেজিস্ট্রি করি। এ খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে আমাদের ঘরে রাতের খাবার খাওয়ার সময় ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে আমার নাকে-মুখে এসিড নিক্ষেপ করে সে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে স্বামী হুমায়ূন কবিরের মুঠোফোনে কল দেওয়া হয়। তবে তা বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আমরা যতটুকু দেখেছি তাতে মনে হয়েছে তার ওপর দাহ্য জাতীয় পদার্থ নিক্ষেপ করা হয়েছে।

কেন্দুুয়া থানার ওসি এনামুল হক জানান, ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। ডাক্তার বলেছে তার ওপর কোনো দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করা হয়েছে। রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এইচ এম কামাল/এমএইচআর/এএসএম