ভাঙা ঘরে জোড়াতালি দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বানভাসিরা
সুনামগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। নদীর পানি কমছে। বিশেষ করে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভাটির জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বন্যার ক্ষত কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন সেটা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বানভাসি মানুষ।
তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, বিশ্বম্ভরপুরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বানের পানিতে ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানির স্রোত এতটা ছিল যে কেউ কেউ ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র ফেলে কোনো রকম প্রাণ নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটেছেন, আবার অনেকেই ভিটেমাটির মায়ায় পানিবন্দি অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরের ভেতর বন্দিদশায় দিনযাপন করেছেন।
তবে এরইমধ্যে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে৷ পানিবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি মিলেছে নিম্নাঞ্চলের বানভাসি মানুষদের। তবে বন্যার তাণ্ডবে ভাটির জেলায় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ মানুষ এখন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরে সেই ভাঙা ঘরে জোড়াতালি দিয়ে বসবাসের উপযোগী করছেন।
তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা মনর আলী বলেন, আমার ঘরটা ঢলের পানিতে ভেঙে গেছে। ভেসে গেছে আসবাবপত্র। কিন্তু ঘর মেরামত কিংবা আসবাবপত্র কেনার টাকা নেই। তাইতো ভাঙা ঘরকে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকম ঠিক করে থাকছি।
দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল হাই বলেন, দুই দফার বন্যায় সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এখন সবাই জোড়াতালি দিয়ে ঘরগুলো কোনোরকম ঠিক করছি।
ছাতক উপজেলার বাসিন্দা শাহিনুর বলেন, দুই দফা বন্যায় আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। ঢলের পানিতে ঘরবাড়ির সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু ঘর মেরামত করার জন্য সরকারি সহায়তা কবে পাবো তা সঠিক জানি না। দ্রুত সহায়তা পেলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তবে বানভাসি মানুষ যাতে পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য তাদের সহায়তা করা হবে।
লিপসন আহমেদ/এফএ/এএসএম