সিরাজগঞ্জ
যমুনার পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি
ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বেড়ে নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলার পাঁচ উপজেলার ৩৪ ইউনিয়নের এক হাজার ২৭৬টি পরিবারের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর হার্ড পয়েন্টে ১৩ দশমিক ২৮ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপরে। একই সময়ে কাজীপুর উপজেলার মেঘাই ঘাটে যমুনার পানি ১৫ দশমিক ১২ মিটার উচ্চতায় রয়েছে। যা বিপৎসীমার ৩২ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দুপুরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, উজানের পানির চাপে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্রতি ১২ ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী দুই থেকে তিন দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এ কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন
- তিস্তায় পানি বেড়ে চর-নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
- পাহাড়ি ঢলে ছাতকের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ভোগান্তিতে ৫ গ্রামের মানুষ
সদর উপজেলার হাটপাচিল গ্রামের বৃদ্ধা ফাজিলা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, বন্যার পানিতে বাড়ি ভেঙে গেছে, সন্তানরাও দূরের গ্রামে চলে গেছে। আমরা দুই বুড়ো-বুড়ি যাওয়ার কোনো জায়গা না পেয়ে নদীর পাড়েই ছাউনি বানিয়ে কোনোরকমে বেঁচে আছি। বৃষ্টিতে খুব কষ্ট হচ্ছে, তার ওপর ঘরে কোনো খাবার নেই।
এদিকে বন্যা কবলিতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, জেলার পাঁচ উপজেলার ৩৪ ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার ২৭৬টি পরিবারের সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ ইতিমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ জন্য ওই সব এলাকায় ১৮০টি আশ্রয়কেন্দ্রও খোলা হয়েছে। তবে এসব আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যন্ত কেউ ওঠেনি বলে তিনি জানান।
এমএ মালেক/আরএইচ/এএসএম