পানি কমে ভেসে উঠছে ক্ষত চিহ্ন
গত দুদিনে মুহুরী-কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ আট জায়গায় ভেঙেছে। ফলে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন জনপদ। সেই সঙ্গে ভেঙেছে বাড়ি, উপড়ে পড়েছে গাছ। এবার পানি কমা শুরু করলেও ভেসে উঠছে এসব এলাকার ক্ষতচিহ্ন। বসতবাড়ি থেকে পানি নামলেও তলিয়ে আছে ফসলি জমিসহ রাস্তাঘাট।
এদিকে সিলোনিয়া নদীতে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় দুই উপজেলার অন্তত পানিবন্দি দুই হাজার পরিবার।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও বেড়িবাঁধের ভাঙা স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তবে যেসব এলাকায় বন্যার পানি কমছে সেখানে ভেসে উঠছে ক্ষত চিহ্ন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমনের বীজতলা, সবজি ও পুকুরের মাছ। পানিতে আমনের বীজতলা নিমজ্জিত হয়েছে সাড়ে ১৬ হেক্টর। সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে সাড়ে ৭ হেক্টর।
মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, দুই উপজেলায় ৭০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে নতুন করে আর বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা নেই। এছাড়া পানি কমলে ভাঙন মেরামতের কাজ শুরু হবে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া জানান, ১৮টি গ্রামের এক হাজার ৪০০ পরিবারের মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। ঘর থেকে পানি নামলেও কৃষিজমি ও রাস্তাতে পানি রয়েছে। পানি নিচের দিকে গড়াচ্ছে, ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার বলেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ টন চাল ও এক হাজার প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার রাতে ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর আট জায়গা ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজীর ২৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/জেডএইচ/জেআইএম