ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ছেলের বিরুদ্ধে মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৮:৪০ এএম, ০৩ জুলাই ২০২৪

ফরিদপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রাবেয়া খাতুন ময়না (৬৮) নামে এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলের দিকে ওই বৃদ্ধার মরদেহের ময়নাতদন্ত ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

রাবেয়া খাতুন বড় ছেলে কোরবান মল্লিকের সঙ্গে থাকতেন। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের মৃত গেন্দু মল্লিকের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন ময়নাকে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বড় ছেলে কোরবান মল্লিক ও তার স্ত্রী কনা বেগম কুপিয়ে জখম করেন। পরে আহত অবস্থায় কোরবান মল্লিক তার মাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

রাবেয়া খাতুনের ছোট ছেলে এসকেন মল্লিক অভিযোগ করে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তার মাকে হত্যা করা হয়েছে। বড় ভাই কোরবান ও তার স্ত্রী মাকে হত্যা করে কাউকে কিছু না জানিয়ে হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। নিজেরা হত্যা করে অন্যদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছিলেন। মা বড় ভাইয়ের সঙ্গে ফরিদপুর শহরতলীর মাচ্চর ইউনিয়নের শিবরামপুরে বসবাস করতেন। আমি অন্য জায়গায় বসবাস করি, খবর পেয়ে বাড়িতে আসি।

অভিযুক্ত কোরবান মল্লিক জানান, সোমবার দুপুরের দিকে তার মা ময়না বেগম বিছানায় শুয়ে ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে তিনি তার মাকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তিনি চিৎকার করলে তার স্ত্রী কণা বেগমসহ আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এরপর তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি গোপন করার চেষ্টা করা হয়। সোমবার রাত আটটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মৃত অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে দেখতে পাই। পরে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে এখনও জানা যায়নি। তবে তদন্ত কার্যক্রম শেষে জানানো যাবে। এখনও পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।

এন কে বি নয়ন/এফএ/এএসএম