ছাদ ফুটো করে আসামি পলায়ন
ডেপুটি জেলারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেল থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান ও প্রধান কারারক্ষীসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তিন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেল সুপার আনোয়ার হোসেন।
সাময়িক বরখাস্তরা হলেন- ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, সর্ব প্রধান কারারক্ষী ফরিদ উদ্দিন, প্রধান দুই কারারক্ষী দুলাল মিয়া ও আব্দুল মতিন এবং কারারক্ষী আরিফুল ইসলাম।
এছাড়া বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে প্রধান কারারক্ষী আমিনুল ইসলাম, সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইদুর রহমান ও কারারক্ষী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।
এদিকে ঘটনার পর বগুড়া কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঝুঁকি মনে করে, মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং জেএমবি সদস্যদের অন্য কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
- আরও পড়ুন:
বগুড়া কারাগার থেকে যেভাবে পালিয়ে যান মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদি
ছাদ ফুটো করে আসামি পলায়ন: ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালালেন চার ফাঁসির আসামি, পরে ধরা
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন কারাগারে তাদের সরানোর কাজ চলে। এদের মধ্যে প্রথম ধাপে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন কয়েদিসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ আসামিকে রাজশাহী বিভাগীয় কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরা হলেন নাঈম মন্ডল, শিবলু ফকির ও আবদুর রাজ্জাক। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই কয়েদি রবিউল ইসলাম ও আবদুর রহিমকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান বগুড়া কারাগার চত্বর পরিদর্শন করে তদন্ত কাজ শুরু করেন।
বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান শাহিন জানান, পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কারাগারের জেলার ফরিদুল ইসলাম রুবেল বুধবার রাতে চার কয়েদির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাদের পুনরায় কারাগারে প্রেরণ করেন। এখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।
এর আগে বুধবার (২৬ জুন) ভোররাতে কারাগারের জাফলং ভবনের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে চার আসামি পালিয়ে যান। পরে কারাগার থেকে এক কিলোমিটার দূরে চেলোপাড়া চাষীবাজার থেকে টহল পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
জেডএইচ/জেআইএম