ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পিস্তল উঁচিয়ে জমি দখলের অভিযোগ সাবেক প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে

জেলা প্রতিনিধি | কুড়িগ্রাম | প্রকাশিত: ০৮:৪০ এএম, ২৫ জুন ২০২৪

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রৌমারী থানায় অনলাইনে একটি জিডি করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওই ভুক্তভোগীর নাম মো. আনোয়ার হোসেন (৫৪)। তিনি উপজেলার রৌমারী গ্রামের বাসিন্দা এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রীর প্রতিবেশী।

সোমবার (২৪ জুন) অভিযোগটি (জিডি) নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লা হিল জামান।

অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভুক্তভোগীর (আনোয়ার হোসেন) পৈতৃক জমির ৪৫ শতক দখল করে নেন। রোববার (২৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাকির হোসেন লোকজন দিয়ে দখলকৃত জমির পাশে থাকা ভুক্তভোগীর বাকি জমিতে মাটি ভরাট করে দখল করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি ভরাটে বাধা দিলে জাকির হোসেন ক্ষিপ্ত হন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী, তার স্ত্রী সুরাইয়া সুলতানা ও ছেলে সাফোয়াত আদি জাকির ভুক্তভোগীকে শাসান ও মারধর করতে উদ্যত হন। একপর্যায়ে জাকির হোসেন পিস্তল উঁচিয়ে আনোয়ার হোসেনকে গুলি করার হুমকি প্রদান করেন। বিবাদীরা (জাকির হোসেন, তার স্ত্রী ও ছেলে) ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের লোকজনকে রাস্তাঘাটে একা পেলে মারধরের হুমকি দেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ভয় দেখান।

পিস্তল উঁচিয়ে হুমকির অভিযোগ প্রসঙ্গে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এসব বানোয়াট মিথ্যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

অপরদিকে আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি (জাকির হোসেন) ভুয়া দলিল বানিয়ে আমার বাবার জমিকে অর্পিত সম্পত্তি দেখিয়ে নিজের পক্ষে একতরফা রায় নিয়েছেন। মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এটা করেছেন। আমাদের জমি অর্পিত সম্পত্তিতে পড়ে না। আমাদের খাজনা, খারিজসহ সব বৈধ কাগজ আছে। কিন্তু তার ক্ষমতার কাছে আমরা টিকতে পারি না। জাকির হোসেন পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন। তার মেয়ে বাধা না দিলে তিনি পিস্তল নিয়ে তেড়ে আসছিলেন।

রৌমারী থানার ওসি আবদুল্লা হিল জামান বলেন, জিডি পেয়েছি। আদালতের নির্দেশ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফজলুল করিম ফারাজী/এফএ/জিকেএস