ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নোয়াখালীতে লন্ডন প্রবাসীর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেত্রীর ধর্ষণ মামলা

জেলা প্রতিনিধি | নোয়াখালী | প্রকাশিত: ১০:০৩ পিএম, ২৪ জুন ২০২৪

নোয়াখালীর আদালতে ইসমাইল হোসেন রায়হান (৩৫) নামের এক লন্ডন প্রবাসীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন এক ছাত্রলীগ নেত্রী।

ইসমাইল হোসেন রায়হান জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর গ্রামের মো. ইউছুফ আলীর ছেলে। মামলায় রায়হানের ভাই, বাবা ও এক খালাতো বোনকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের নেত্রী (২৯)। তিনি ওই জেলার সদর উপজেলার একটি ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য।

সোমবার (২৪ জুন) জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ লাভলু বলেন, মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নোয়াখালী জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিকেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে ওই নেত্রীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় তৎকালীন স্পেন প্রবাসী ইসমাইল হোসেন রায়হানের। পরে রায়হান লন্ডন গিয়ে নেত্রীকে বিয়ে করে লন্ডন নেওয়ার প্রলোভন দেখান। এক পর্যায়ে গত ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর দেশে এসে ভুক্তভোগীকে বিয়ের কথা বলে নোয়াখালীর বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই সময় নেত্রীর বেশকিছু আপত্তিকর ছবি ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে তিনি (রায়হান)। পরে ওই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই বছরের ৭ নভেম্বর বাবা ও ভাইয়ের উপস্থিতিতে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন রায়হান। এর পাঁচদিন পর (১২ নভেম্বর) আবারও ভিডিওর ভয় দেখিয়ে রায়হান তার খালাতো বোন কলির বেগমগঞ্জের সেতু ভাঙার বাসায় নিয়ে নেত্রীকে আবারও ধর্ষণ করেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী জাগো নিউজকে বলেন, গত ৭ বছর ধরে ইসমাইল হোসেন রায়হান আমাকে বিয়ে ও লন্ডন নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আমার সব শেষ করে দিয়েছে। তার জন্য আমি অনেক টাকা খুইয়েছি। এখন সে দেশে আসার খবরে তার কাছে গেলে সে আমার সঙ্গে সকল সম্পর্ক অস্বীকার করেন। নিরুপায় হয়ে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি টাকা ফেরতসহ ন্যায্য অধিকার চাই। এসময় ইসমাইল হোসেন রায়হানের সঙ্গে কথোপকথন ও বেশ কিছু অন্তরঙ্গ ছবি-ভিডিও প্রদর্শন করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলার খবর পেয়ে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন রায়হান লন্ডন চলে গেছেন। পরে মেসেঞ্জারে কল দিনে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। ওই নারীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় ছিল। তার কাছ থেকে আমি রেন্ট-এ-কারের গাড়ি ভাড়া নিয়েছিলাম। গাড়ির সঙ্গে কয়েকদিন তিনিও এসেছিলেন। তার অভিযোগের বিষয়টি আমি আদালতে মোকাবিলা করবো।

ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/জেআইএম