ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিজেআরআই মহাপরিচালক

উন্নত জাতের পাটবীজ উৎপাদন আমদানি নির্ভরতা কমবে

জেলা প্রতিনিধি | যশোর | প্রকাশিত: ০৫:৩৬ এএম, ২২ জুন ২০২৪

উন্নত জাতের পাটবীজ দেশে উৎপাদন হলে আমদানি নির্ভরতা কমবে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল আওয়াল।

তিনি বলেন, তোষা পাট-৯ একটি উচ্চ ফলনশীল পাট। এই পাটের বীজ আমাদের নিজস্ব। এই পাট চাষ করে কৃষক লাভবান হবে। দেশে উৎপাদিত বীজ বিধায় আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমবে। এখন থেকে বিদেশ থেকে আর উন্নত জাতের পাটবীজ আমদানি করা লাগবে না।

শুক্রবার বিকেলে যশোরের বাঘারপাড়ায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে রাহাত হোসেন জয় জানান, প্রায় ২০ শতক জমিতে তিনি এই নতুন জাতের পাট বুনেছেন। কঠুরাকান্দি ছাড়াও বন্দবিলা, নিমটা, জহুরপুর প্রভৃতি গ্রামের প্রায় ৩০ জন কৃষক এই পাট চাষ করেছেন। পাটবীজ কৃষকরা মণিরামপুর উপকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে পেয়েছেন।

বিজেআরআই সূত্রে জানা গেছে, ভারতের জেআরও-৫২৪-এর সঙ্গে দেশীয় আগাম পরিপক্ব জার্মপ্লাজমের (এক্সেশন-১৭৪৯) মধ্যে সংকরায়ন (হাইব্রিডাইজেশন) ঘটিয়ে নতুন একটি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এটি বিভিন্ন পরীক্ষণে জমিতে ভালো ফলন দিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের ভূমি ও আবহাওয়া উপযোগী বলেও প্রমাণ হয়েছে।

দেশের কৃষকদের চাহিদার কথা চিন্তা করে বিজেআরআইর ড. নার্গিস আক্তার ২০০৪ সালে জাতটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। পরে তিনি উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিজ্ঞানীদের নিয়ে জাতটি উদ্ভাবন করেন। ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষামূলক গবেষণার পর জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অনুপ ঘোষ বলেন, সাধারণ পাটের থেকে এই জাতের জীবনকাল ১০-২০ দিন কম। সাধারণ পাটের জীবনকাল ১২০ দিন। এছাড়া এই জাতের পাটের উৎপাদনও বেশি।

বিজেআরআই পরিচালক (কৃষি) কৃষিবিদ ড. নার্গিস আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (খামারবাড়ি যশোর) উপ-পরিচালক ড. সুশান্ত তরফদার।

উপস্থিত ছিলেন বিজেআইআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রিন্স মণ্ডল, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অনুপ ঘোষ প্রমুখ।

এইচআরএম/জেডএইচ/