ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো তীব্র বিষধর ‘ইয়েলো-বেলাইড সি স্নেক’

উপজেলা প্রতিনিধি | কলাপাড়া (পটুয়াখালী) | প্রকাশিত: ০৭:২৩ পিএম, ২০ জুন ২০২৪

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ‘ইয়েলো-বেলাইড সি স্নেক’ নামের বিষধর সাপের দেখা মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সৈকতের পূর্ব পাশে ঝাউবন এলাকায় সাপটিকে দেখতে পান মাসুম বিল্লাহ নামের একজন ট্যুর গাইড। খবর পেয়ে অ্যানিমেল লাভার্সের সদস্যরা সাপটিকে উদ্ধার করেন।

অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্য কে এম বাচ্চু জাগো নিউজকে বলেন, কুয়াকাটা বিচের পূর্ব পাশে ঝাউবনের সামনে ‘ইয়েলো-বেলাইড সি স্নেক’ দেখতে পান ট্যুর গাইড মাসুম বিল্লাহ। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ওখানে চলে আসি। কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সাপটি সরিয়ে ফেলা হয়।

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো তীব্র বিষধর ‘ইয়েলো-বেলাইড সি স্নেক’

তবে এটিই প্রথম নয়, এর আগে ২০২২ সালে দুটি ও ২০২৩ সালে একটি এই সাপের দেখা মিলেছিল। এছাড়া কুয়াকাটা সৈকতের কাছাকাছি বিরল প্রজাতির সাপ, তিমি, কচ্ছপের দেখা মিলছে।

বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ সাপের পেটের রং হলুদ। দেহের উপরিভাগ কালো। এরা সমুদ্রে থাকে। এ সাপের ইংরেজি নাম ‘ইয়েলো বেলাইড সি স্নেক’। এরা হাইড্রোফিদা পরিবারভুক্ত।

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো তীব্র বিষধর ‘ইয়েলো-বেলাইড সি স্নেক’

তিনি আরও বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে বসবাস করা এ সাপ তীরবর্তী এলাকায় খুব কম দেখা মেলে। তবে এটি অত্যন্ত বিষধর সাপ। যদি কাউকে আঘাত করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হতে পারে। হাসপাতাল পর্যন্ত নেওয়ারও সময় দেয় না। এদের অ্যান্টিবায়োটিক এখনো বাংলাদেশে তৈরি হয়নি।’

উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, সমুদ্র থেকে আসা একটি বিষাক্ত প্রজাতির সাপ ‘ইয়েলো-বেলাইড সি স্নেক’, যা আটলান্টিক মহাসাগর ছাড়া গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মহাসাগরীয় পানিতে পাওয়া যায়।

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো তীব্র বিষধর ‘ইয়েলো-বেলাইড সি স্নেক’

সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জাগো নিউজকে বলেন, গোটা বিশ্বের স্থল ও সমুদ্র ভাগের সব সাপের মধ্যে এটা চতুর্থতম। এটা তীব্র বিষধর। এ সাপ সচরাচর দেখা যায় না। গতবছরের জুনে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সৈকতে এই সাপ দেখা গেছে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/এমএস