একমঞ্চে একসঙ্গে দেখা দিলেন হেভিওয়েটরা
লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পুনর্মিলনীতে একমঞ্চে দেখা দিলেন হেভিওয়েটরা। তবে তারা সবাই ওই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। এদিন কানায় কানায় পূর্ণ ছিল স্কুলপ্রাঙ্গণ।
বুধবার (১৯ জুন) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রখ্যাত নাট্যকার রামেন্দু মজুমদার।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়টির ৬৬টি ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশ নেন। সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি হলেও তা উপেক্ষা করে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দলে দলে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পুরোনো সহপাঠীদের পেয়ে ছবি তুলে স্মৃতি ধরে রাখেন সবাই।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা ও রিইউনিয়ন বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা অতিরিক্ত ডিআইজি টুটুল চক্রবর্তী প্রমুখ। বক্তৃতায় তারা স্কুলজীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এসব হেভিওয়েট ব্যক্তিরা বিদ্যালয়টির বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাদের একমঞ্চে দেখে অনুপ্রেরণা পান জুনিয়ররা।
রিইউনিয়ন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব কামরুল হাসান। সদস্য সচিব ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল। কার্যকরী কমিটি ছাড়াও প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে সমন্বয়ক কমিটিসহ ২৬টি উপকমিটি দায়িত্ব পালন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, প্রাক্তনদের উপস্থিতি নতুনদের জন্য অনুপ্রেরণার। ব্যক্তিজীবনে প্রাক্তনদের অর্জন দেখে নতুনরা অনুপ্রাণিত হবে। নিজেদেরকেও তারা সিনিয়রদের মতো গড়ে তুলতে উদ্যমী হবে। তাদের চেষ্টা হবে আরও ভালো অবস্থানে যাওয়ার।
১৮৮৭ সালে মডেল হাইস্কুল এবং ১৯৬০ সালে এইচ এ সামাদ একাডেমি প্রতিষ্ঠা পায়। ১৯৮২ সালে দুটি প্রতিষ্ঠান একত্র হয়ে জাতীয়করণ হয় এবং নতুন নামকরণ হয় ‘লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়’। এজন্য রিইউনিয়নের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আদর্শ সামাদিয়ান’। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী ছিল নানান আয়োজন।
কাজল কায়েস/এফএ/জিকেএস