ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গোর-এ শহীদ ময়দানে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

জেলা প্রতিনিধি | দিনাজপুর | প্রকাশিত: ১০:২৩ এএম, ১৭ জুন ২০২৪

দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজকদের দাবি, এবারের ঈদ জামাতে দুই লাখেরও বেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।

মেঘ ও ঝিরিঝিরি বৃষ্টির আবহে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বৃহৎ এই জামাতে নামাজ আদায় করতে পেরে খুশি দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিরা।

এবার গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের নামাজ ঘিরে একজোড়া বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। দিনাজপুর স্টেশন সুপার এ কে এম জিয়াউর রহমান জাগো নিউজকে জানান, পঞ্চগড় ও পার্বতীপুর থেকে বিশেষ ট্রেন সকাল সোয়া ৭টায় এবং পৌন ৮টায় মুসল্লিদের নিয়ে দিনাজপুর স্টেশনে পৌঁছায় এবং ঈদের নামাজ শেষে সকাল সাড়ে ৯টায় ছেড়ে যায়।

jagonews24

সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৭টায় গোর-এ শহীদ ময়দানে মুসল্লিরা জড়ো হতে থাকেন। সাড়ে ৮টায় শুরু হয় নামাজ। এতে ইমামতি করেন মাওলানা শামসুল আলম কাশেমী। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহসহ প্রধানমন্ত্রীর জন্য শান্তি ও সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বৃহৎ এ জামাতে অংশ নেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ, দিনাজপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারাসহ সর্বস্তরের মানুষ।

আরও পড়ুন

বৃহৎ এ ঈদ জামাতের প্রধান উদ্যোক্তা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। নামাজ শেষে তিনি জানান, এবার বিনা পয়সায় বিশেষ ট্রেন চালু করায় জামাতে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সফলভাবে ঈদ জামাত সম্পন্ন হওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

গোর-এ শহীদ ময়দানে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

বৃহৎ এ ঈদ জামাতে অংশ নিতে পেরে খুশি মুসল্লিরাও। এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেন তারা।

বিশেষ ট্রেনে নামাজ আদায় করতে এসেছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের বাসিন্দা আবু হোসাইন (৪০), জেলার পীরগঞ্জের তারা মোহাম্মদ (৬৩)। তারাও এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে নিজেদের খুশির কথা জানান। সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়েও তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বৃহৎ এ জামাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের জন্য স্থাপন করা হয় শৌচাগার, রাখা হয় ওজুর ব্যবস্থা। বসানো হয় মেডিকেল টিম। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে নেওয়া হয় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এমদাদুল হক মিলন/এমকেআর/জেআইএম