সেন্টমার্টিন ও সীমান্ত পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
রোববার (১৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সম্প্রতি মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের সীমান্তবর্তী মংডু অঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মাঝে সংঘর্ষ পরিলক্ষিত হচ্ছে। মিয়ানমারের মংডু সীমান্তের বিপরীতে বাংলাদেশের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ সীমান্ত অবস্থিত হওয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিজিবি মহাপরিচালক টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধীনস্থ সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিওপি পরিদর্শন, বিওপির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন
- রাখাইনে কমেছে গোলাগুলি, থেমেছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ
- কক্সবাজার থেকে নিত্যপণ্য নিয়ে সেন্টমার্টিন গেলো জাহাজ
- গোলাগুলি-বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত শাহপরীর দ্বীপের মানুষ
পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যদের দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত সুরক্ষার জন্য অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। দুর্গম এই দ্বীপে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য বিজিবি মহাপরিচালক সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তে উদ্ভুত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যদের সদাতৎপর থাকার নির্দেশ দেন।
এরপর বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি রামু সেক্টর সদর দপ্তর, রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) সদর এবং অধীনস্থ মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তের দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদের অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
তিনি আরও জানান, পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নসমূহের অধিনায়কসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সায়ীদ আলমগীর/বিএ/জেআইএম