সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনীর ইউনিফর্মকে মনে হয় আমার গায়ের চামড়া
সেনাবাহিনীর ইউনিফর্মকে নিজের গায়ের চামড়া বলে উল্লেখ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছি। এ বাহিনীর প্রধান হতে পেরে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমার গায়ে যে ইউনিফর্ম সেটিকে মনে হয় আমার গায়ের চামড়া।
শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে নড়াইলের লোহাগড়ায় বাবার স্মৃতিবিজড়িত মল্লিক ইউনিয়ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, আমার শৈশব এখানে কেটেছে। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে কাটিয়েছি। এখানে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমি বারবার এখানে আসবো শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও লোহাগড়া আমার হৃদয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পৈতৃকভিটা নড়াইলের করফা গ্রামে ছিলাম। এখানে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে, যা কখনোই ভোলার নয়। লোহাগড়া, মল্লিকপুর ও করফা এলাকার কথা ভোলা যাবে না। এখানে বাবারও অনেক স্মৃতি রয়েছে। এলাকার জন্য বাবা অনেক কিছু করেছেন। অবসরের পরেও নড়াইলের সন্তান হিসেবে ক্রীড়াঙ্গন, পর্যটনসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের চেষ্টা করবো।
জেনারেল শফিউদ্দিন আরও বলেন, পেশা হিসেবে শিক্ষকতা আমার খুবই পছন্দের। আমার বাবাও শিক্ষক ছিলেন। আমার মেয়েও মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতা করছে। আমার ছোট বোনটাও সহযোগী অধ্যাপক।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার করফা গ্রামের সন্তান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ২০২১ সালের ২৪ জুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর তিনি একাধিকবার নড়াইলের লোহাগড়ায় সফরে এসে রেললাইনসহ বিভিন্ন উন্নয়নকাজ উদ্বোধন করেন। আগামী ২৩ জুন নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
এদিন শেখ রাসেল সেনানিবাসে ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন শেষে দুপুরে হেলিকপ্টারে সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন লোহাগড়া উপজেলায় মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে যান এবং সেখানে ট্রাস্ট ব্যাংকের একটি শাখা উদ্বোধন করেন। পরে তিনি মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন এবং একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
এরপর সেনাপ্রধান গাড়িবহর নিয়ে মল্লিকপুর ইউনিয়ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যান। সেখানে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি মহাসিন ইসলাম, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামান এবং ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এসময় সেনাপ্রধানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, সেনা কর্মকর্তা, জেসিও এবং অন্য পদবির সেনাসদস্য এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
হাফিজুল নিলু/এমকেআর/জেআইএম