এবার ঈদে ভোলার আকর্ষণ ২৫ মণের লাল চাঁন
আসন্ন কোরবানির হাটে ভোলার আকর্ষণ প্রায় ২৫ মণ ওজনের গরু লাল চাঁন। সম্পূর্ণ প্রকৃতিক খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা লাল চাঁনের পেছনে দৈনিক প্রায় দেড় হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি গরুটির মালিক জাহাঙ্গীর আলমের। হাটে গরুটি ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান তিনি। এটি ভোলা জেলার সবচেয়ে বড় গরু বলেও দাবি করেন তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের বাওলী বাড়ির মো. জাহাঙ্গীর আলমের বাবার আমল থেকে শখের বশে গরুপালন হয়ে আসছে। বর্তমানে তার খামারে বিভিন্ন সাইজের ৫টি গরু রয়েছে। এরমধ্যে সাড়ে ৩ বছর বয়সের প্রায় ২৫ মণ ওজনের গরু লাল চাঁন।
মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, লাল চাঁন নামে গরুটি তার গাভীর গরু। সাড়ে ৩ বছর বয়সে লাল চাঁনের ওজন প্রায় ২৫ মণ। পরম যত্নে সম্পূর্ণ প্রকৃতিক খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে লাল চাঁনকে।
তিনি জানান, লাল চাঁনকে এবার কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য দৈনিক এক থেকে দেড় হাজার টাকা খরচ করছেন। প্রায় ১৫ ফুট লম্বা ও ৮ ফুট উঁচু গরুটি ভোলা জেলার সবচেয়ে বড় গরু বলেও দাবি তার। এটি এবার কোরবানির হাটে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলমের ভাতিজা মো. আরিফ হোসেন জানান, লাল চাঁনকে যত্নি সহকারে কাঁচা ঘাস, খেসারীর ডাল, খইল, ভূষি, সয়াবিন খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে এবার কোরবানি হাটে বিক্রি করার জন্য।
এদিকে বিশাল সাইজের গরুটিকে এক নজর দেখতে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির খামারে প্রতিদিনই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভিড় করছেন মানুষ।
লাল চাঁনকে দেখতে আসা মো. সুজন হোসেন, মো. হানিফ ও মো. আমির হোসেন জানান, তারা শুনেছেন মো. জাহাঙ্গীরের একটি বিশাল আকারের গরু রয়েছে। এটি শুনে এক নজর গরুটিকে দেখতে তারা ওই বাড়িতে ভিড় করেছেন।
তারা জানান, গরুটি এতটাই বড় যে এমন গরু আর কখনো তারা দেখেননি। এটি এবছর কোরবানির হাটে ভোলার সবচেয়ে বড় গরু হবে।
ভোলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম খাঁন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তাদের পরামর্শে লাল চাঁন নামে গরুটিকে প্রকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন পালন করেছেন। এবছর ভোলার সাত উপজেলায় কোরবানির জন্য গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৫ হাজার ১১টি। আর প্রস্তুত রয়েছে ৯২ হাজার ৪৫০টি পশু।
এফএ/এমএস