ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জমে উঠছে সিরাজগঞ্জের ৫৭ পশুর হাট

জেলা প্রতিনিধি | সিরাজগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৮:২৬ পিএম, ১১ জুন ২০২৪

সিরাজগঞ্জে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলার ৯ উপজেলার ৫৭ হাটে এবার কোরবানির পশুর হাট বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেচাবিক্রিও শুরু হয়েছে এসব হাটে। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার নানা অভিযোগ রয়েছে।

জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা হাটে গিয়ে দেখা যায়, জমজমাট পরিবেশ। হাটে সারি সারি বাঁশের খুঁটিতে বাঁধা রয়েছে হাজারো কোরবানির পশু। গরুর দরদাম নিয়ে হাঁকডাক করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

এ হাটে গরু কিনতে আসা আকতার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা যারা কোরবানি দেই, আমাদের অনেকের গরু রাখার জায়গা থাকে না। তাই প্রতি বছর ঈদের দু-তিন দিন আগেই কোরবানির পশু কিনে থাকি। আজ শুধু দরদাম করছি।

জেলা প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় ১৭ হাজার ১৩৪টি খামারে সোয়া ছয় লাখ কোরবানির পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড় গরু রয়েছে এক লাখ ৭৩ হাজার ১১০টি, বলদ গরু ৩৩ হাজার ৬০৫টি, গাভি গরু ১৫ হাজার ৭১৭টি, মহিষ তিন হাজার ৬৮১টি, ছাগল তিন লাখ ৩৮ হাজার ২৩৫টি ও ভেড়া ৬০ হাজার ৫৮০টি। এসব পশু বিক্রির জন্য জেলার ৫৭টি স্থানে হাট বসেছে। যার মধ্যে অস্থায়ী হাট রয়েছে ২৮টি।

চান্দাইকোনা হাটে গরু কিনতে আসা সদর উপজেলার আব্দুল মমিন জাগো নিউজকে বলেন, গত বারের তুলনায় এবার হাটে বেশি পরিমাণে দেশি জাতের গরু উঠছে। গরুগুলো দেখতেও খুব সুন্দর। তবে দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।

জমে উঠছে সিরাজগঞ্জের ৫৭ পশুর হাট

দিনাজপুর থেকে ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন খামারি ওসমান সেখ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, চান্দাইকোনা হাটে ঢাকার ব্যাপারী আসে। এ জন্য ১০টি ষাঁড় এনেছিলাম। অনেক দামাদামির পর সাতটি ব্যাপারী ও তিনটি সাধারণ ক্রেতারা নিয়েছেন। তবে গো-খাদ্যের বেশি থাকায় ততোটা লাভ হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

সিরাজগঞ্জ সদর, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুরের হাটগুলোতে আসা ব্যাপারী-ইজারাদারেরা বলেন, গতবারের তুলনায় এবার কোরবানির হাটে আসা দেশি জাতের গরুর সংখ্যা বেশি। তবে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে ব্যয় বাড়ায় গরুর দাম আগের চেয়ে একটু বেশি।

চান্দাইকোনা হাটের ইজারাদার শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, গত কয়েক দিনে কোরবানির পশু এসে জড়ো হয়েছিল হাটে। ইতোমধ্যে ক্রেতাদের আনাগোনায় হাট জমে উঠেছে। রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাদের হাটে অন্তত দেড় হাজার গরু বিক্রি হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত পশু যাতে হাটে ক্রয়-বিক্রয় না হয়। সে জন্য প্রত্যেক উপজেলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালিত ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম তদারকি করছেন।

জেলা প্রশাসক মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলায় যেসব পশুর হাটের ডাক (ইজারা) হয়নি সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ইজারা ছাড়া যদি কোথাও হাট বসানো হয় বা হাটে অনিয়মের খবর পাওয়া যায়, তবে সেটার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমএ মালেক/আরএইচ/এমএস