দৈত্যাকার ‘কিং অব নন্দনপুর’র ওজন ৪২ মণ, বিক্রি হবে ১২ লাখে
খুলনার রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের একটি গ্রাম নন্দনপুর ভদ্রগতি। ওই গ্রামে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা একটি ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘কিং অব নন্দনপুর’। ৪২ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা।
অন্যদিকে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরার ‘নুন্টু’ নামের ৩৭ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান একটি ষাঁড়ের দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খৈল, কুড়া, ঘাস আর ভুসি খাইয়ে ষাঁড়টিকে বড় করা হয়েছে বলে জানান এর মালিক মাস্টার মোজাহার আলী।
‘কিং অব নন্দনপুর’ এর মালিক মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, তার গোয়ালের এই গরুটি তিনি নিজ সন্তানের মতো করে পালন করেছেন। প্রতিদিন নিয়ম করে তিনবেলা খাবার দেওয়া হয়। সে খুবই শান্ত স্বভাবের। দিনে পাঁচবার গোসল করানোর পাশাপাশি গরম যেন না লাগে সেজন্য গোয়ালে দেওয়া হয়েছে একাধিক ফ্যান। ৪-৫ দিন পরপর শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা দাম উঠেছে। কিন্তু তার খরচ ওঠাতে গেলে আরও দুই লাখ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। খুলনায় বিক্রি না হলে ঢাকার গাবতলী হাটে নিয়ে যাওয়া হবে।
জাহিদুর রহমান আরও জানান, তার গরুটির মোট ওজন এক হাজার ৭০০ কেজি (প্রায় ৪৩ মণ)। তবে জবেহ করার পর মোট মাংস পাওয়া যাবে ৩০-৩২ মণ। এর উচ্চতা ৬ ফুট।
জাহিদুরের স্ত্রী সুমি আক্তার বলেন, নিজের সন্তানের মতো গরুটি লালন-পালন করেছি। এখন বিক্রি করতে খারাপ লাগছে। তারপরও কিছু করার নেই। বিক্রি তো করতেই হবে।
‘নুন্টু’ নামের ফ্রিজিয়ান ষাঁড়টি লালন-পালন করেছেন মাস্টার মোজাহার আলী। চার বছর আগে ২০২০ সালে তার গোয়ালেই জন্ম নেয় ‘নুন্টু’। এখন তার বয়স এখন চার বছর ১ মাস। উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ১০ ফুট। ওজন প্রায় ৩৭ মণ।
গত কোরবানির ঈদে নুন্টুর দাম উঠেছিল সাত লাখ টাকা। এ বছর দাম উঠেছে আট লাখ। তবে নুন্টুকে লালন-পালন করতে এ পর্যন্ত মালিকের খরচ হয়েছে সাত লাখ টাকা। কোরবানির ঈদে শখের নুন্টুকে ১০ লাখ টাকায় বিক্রির প্রত্যাশা করছেন মোজাহার আলী।
আলমগীর হান্নান/এসআর/এমএস