ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

খাদ্যে চেতনানাশক ব্যবহার করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিতেন তারা

জেলা প্রতিনিধি | চুয়াডাঙ্গা | প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, ০৮ জুন ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে চেতনানাশক পাউডার ও ওষুধ মিশ্রিত জুস জব্দ করা হয়।

শনিবার (৮ জুন) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।

গ্রেফতাররা হলেন, বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের মৃত কাশেম মাঝির ছেলে বাচ্চু মাঝি (৪৮), চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানার দুধপাতিলা গ্রামের মৃত গোলাপ মন্ডলের ছেলে হাশেম আলী (৪৮), দর্শনা থানার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মো. সালামত (৫৫), চুয়াডাঙ্গা সদর থানার বোয়ালমারি গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে শাহাবুদ্দিন ওরফে শুকচাঁন (৩০), জীবননগর থানার সন্তোষপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম ওরফে ইব্রা (৫০) ও একই থানার মৃগমারী গ্রামের নওশাদ মন্ডলের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪৭)।

সংবাদ সম্মেলনে নাজিম উদ্দিন আল আজাদ জানান, চুয়াডাঙ্গায় বৃহৎ মোট ১১টি পশুর হাট রয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ডুগডুগি, শিয়ালমারি, আলমডাঙ্গা, সরোজগঞ্জ পশুর হাটগুলো জমজমাট হয়ে ওঠে। একই সঙ্গে প্রতি বছরই অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের দৌরাত্ম বেড়ে যায়।

এছাড়াও পরিবহনগুলোতেও বাসের যাত্রীবেশী অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা টার্গেট করে সাধারণ যাত্রীদের অজ্ঞান করে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়।

চুয়াডাঙ্গা, গ্রেফতার, পুলিশখাদ্যে চেতনানাশক ব্যবহার করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিতেন তারা

তিনি আরও জানান, গত ১৬ মে ফরিদপুরের ইউনুস শেখ শিয়ালমারি পশুহাটে, ২৩ মে জীবননগর-কালীগঞ্জ সড়কের পশু হাসপাতালের সামনে সানোয়ার হোসেন (৪৫), ৩০ মে আলমডাঙ্গার শমসের আলী শিয়ালমারি হাটে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন। সবশেষ অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা গত ৩ জুন ডুগডুগির হাটে নোয়াখালীর জসিম উদ্দিনকে টার্গেট করে চেতনানাশক পুশ করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে হাতেনাতে বাগেরহাটের বাচ্চু মাঝি নামের একজন গ্রেফতার হন।

এ ঘটনায় দামুড়হুদা থানায় পরদিন একটি মামলা করা হয়। পরে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের ধরতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একাধিক টিম কৌশলে ফাঁদ পাতে। সেই ফাঁদে আটকা পড়েন অজ্ঞান পার্টির ছয় সদস্য।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এটা একটা সংঘবদ্ধ চক্র। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে ভিকটিমকে চেতনানাশক প্রয়োগ করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তদন্তকালে আমরা এই চক্রের বেশকিছু নাম পেয়েছি। তাদের চলমান কার্যক্রম নজরদারিতে রয়েছে। চক্রের সব সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে সুষ্ঠু তদন্ত এবং গ্রেফতার অভিযান চলছে।

হুসাইন মালিক/এনআইবি/জেআইএম