ঈশ্বরদী
একই হাসপাতালে পরপর ৩ নবজাতকের মৃত্যু, থানায় অভিযোগ
পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির সময় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) ভোর ৪টার দিকে শহরের জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই নবজাতকের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গত মার্চ মাসে এ হাসপাতালে নরমালে ডেলিভারির সময় আরও দুই নবজাতকের মৃত্যু হয়। একই হাসপাতালে পরপর তিন নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্র জানায়, নাটোরের লালপুর উপজেলার সাইদুল ইসলামের গর্ভবতী স্ত্রী জিমু খাতুনের (২০) প্রসব বেদনা শুরু হলে ৭ জুন রাত ১১টার দিকে জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাফিসা কবির তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত দেন ৩ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক ডেলিভারি হবে।
চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে জিমু খাতুনের প্রসব বেদনা তীব্র হলে সাইদুল ইসলাম চিকিৎসক নাসিফা কবিরকে বারবার ফোন দেন। চিকিৎসক না আসায় হাসপাতালের আয়া পারুল (৩২), সাথী (৩৬) ও মো. রাসেল (৩২) জিমু খাতুনকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে মৃত সন্তান প্রসব করান। প্রসবের পর কাটা স্থানে ১৬টি সেলাই দেওয়া হলেও রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। জিমু খাতুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগীর স্বামী সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি চিকিৎসক ও আয়ার বিচার দাবি করছি। এ ঘটনায় চিকিৎসক ও আয়াদের অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. নাফিসা কবির জাগো নিউজকে বলেন, নরমাল ডেলিভারি সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নার্সরা করিয়ে থাকেন। আমার সঙ্গে কথা বলে নার্সরা নরমাল ডেলিভারি করিয়েছেন। যারা ছিল তারা সবাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স।
ঈশ্বরদী থানার তদন্ত কর্মকর্তা এবিএম মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মালেকুল আফতাব জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনা শোনার পর ৮জুন সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এসে হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।
শেখ মহসীন/আরএইচ/এএসএম