পলাশবাড়ী খাদ্যগুদাম থেকে ২৫৮ মেট্রিক টন চাল-গম ‘উধাও’
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা সরকারি খাদ্যগুদাম (এলএসডি) থেকে প্রায় দুইশ মেট্রিক টন চাল, ৫৮ মে. টন গম আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিকির বিরুদ্ধে। এদিকে চাল ও গম আত্মসাতের ঘটনা জানাজানি হলে গা ঢাকা দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে তাকে বদলির পাশাপাশি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা যায়, খাদ্য অধিদপ্তরের আদেশে পলাশবাড়ী খাদ্যগুদামের খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ছিদ্দিকির নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি পরিলক্ষিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে। তবে তিনি বদলির আদেশ পাওয়ার আগেই গুদাম থেকে প্রায় আড়াইশ মে. টন চাল ও গম গায়েব করেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে পরবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করেই গা ঢাকা দিয়েছেন।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানান, দু-একজন অসৎ ব্যাবসায়ী ও কতিপয় শ্রমিক রাতের অন্ধকারে এসব চাল ও গম পাচার করেছেন। গায়েব হওয়া খাদ্যের মধ্যে প্রায় দুইশ মে. টন চাল ৫৮ মে. টন রয়েছে।
এদিকে মিল ও চাতাল মালিকরা জানান, প্রায় তিনশ মে. টন চাল তারা গুদামে দিয়েছে কিন্তু বিল পরিশোধ না করেই গা ঢাকা দিয়েছে ওই কর্মকর্তা।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. নাজমুল হক বলেন, কর্মকর্তার বদলি হলেও তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করে গা ঢাকা দিয়েছেন। এর বেশি কিছু জানতে চাইলে তিনি তদন্ত কমিটির কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান বলেন, চাল ও গমে কিছু ঘাটতি হয়েছে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে কিছু খাদ্য কম পাওয়া যায়। গুদাম কর্মকর্তা অন্যত্র বদলি হয়েছে এবং নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কী পরিমাণ চাল ও গম গায়েব হয়েছে সে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্র্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়ে দুদকে জানানো হয়েছে। দুদক তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেবে।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বদলি জেনেছি। তবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন কিনা সেটা জানা নেই। তদন্ত কমিটি গঠন ও মামলা বিষয়টিও নিশ্চিত নই। এছাড়া কী পরিমাণ মালামাল আত্মসাৎ করা হয়েছে সে বিষয়েও কিছু জানি না।
এএইচ/জিকেএস