লোকালয়ে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’, বাড়ি ছাড়েনি কয়রাবাসী
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ খুলনার উপকূলে আঘাত হেনেছে। প্রায় তিন ঘণ্টা আগে আঘাত হেনে এখন লোকালয়ে তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে।
এদিকে নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধির ফলে ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে সাইক্লোন সেন্টারগুলোতে আশ্রয় নেননি কয়রাবাসী। তবে বাতাসের তীব্রতায় অনেক গাছপালা ও ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।
উপকূলীয় উপজেলার সবচেয়ে দুর্যোগ প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিতি দক্ষিণ বেতকাশী এলাকা।
এর বাসিন্দা সিরাজুল সানা বলেন, রাত ৯টার দিক থেকে এলাকা বাতাসের তীব্রতা বেড়ে যায়। এ সময় নদ-নদীগুলোতে জোয়ারের পানির উচ্চতা বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।
এই এলাকার অপর বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, পায়রা উপজেলার মধ্যে এই এলাকাটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিবছরই এখানে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় ফসলি জমি। তাই অনেকে সাইক্লোন সেন্টারে না গিয়ে রাত জেগে পাহারা দেওয়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে।
তিনি আরও বলন, তবে দিনের থেকেও রাতে পানির তীব্রতা অনেক বেশি। এতে নড়বড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে আতঙ্কিত হয়ে নদীর তীরবর্তী ও বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন।
উপকূলে ১১৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২০-২৫ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ অনেকেই নিজের ঘর রক্ষার্থে বাড়িতে অবস্থান করছেন।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল খুলনাসহ উপকূল অতিক্রম করছে। সময় আরও কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে। তিনি বলেন, বাতাসের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য খুলনার ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে মানুষ রাতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আলমগীর হান্নান/জেডএইচ/