ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কনস্টেবল ফরিদা

খুশি যতক্ষণ থানায় ছিল নিজের সন্তানের মতো যত্ন করেছি

উপজেলা প্রতিনিধি | মিরসরাই (চট্টগ্রাম) | প্রকাশিত: ১০:০০ পিএম, ২৪ মে ২০২৪

তিনদিন আগে হারিয়ে যায় সাত বছর বয়সের খুশি। এরপর মিরসরাই থানা পুলিশের হেফাজতে ছিল সে। প্রথমে সে ঠিকমতো নিজের নাম, ঠিকানা বলতে পারেনি। পরে খোঁজ মেলে তার বাবা-মায়ের।

শুক্রবার (২৪ মে) খুশিকে বাবা-মায়ের কাছে তুলে দেয় পুলিশ।

তবে এ কয়দিন তাকে নিজের সন্তানের মতো আগলে রেখেছিলেন মিরসরাই থানার কনস্টেবল ফরিদা আক্তার। গোসল করিয়ে নতুন জামা-কাপড় পরিয়ে মায়ের ভূমিকা নেন তিনি। এতে পুলিশের কাছে হাসিখুশি-ই ছিল খুশি।

কনস্টেবল ফরিদা আক্তার বলেন, ‘খুশি যতক্ষণ থানায় ছিল নিজের সন্তানের মতো যত্ন করেছি। মনে হয়েছে আমার সন্তান। মাকে কাছে না পাওয়ার কষ্টটুকু তাকে বুঝতে দেইনি। গোসল দিয়ে নতুন জামা-কাপড় পরিয়ে রেখেছি। সবশেষ তার মা-বাবার কাছে পৌঁছে দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। খুশি হয়তো আমাকে মনে রাখবে সবসময়।’

ফরিদা আক্তার মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের মহিনুল হকের স্ত্রী।

শিশু খুশির বাবা মহরম আলী পেশায় রিকশাচালক। মা রেশমী বেগম গৃহিণী। তিনদিন আগে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার বউবাজার এলাকা থেকে শিশুটি হারিয়ে যায়

মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বলেন, বুধবার (২২ মে) রাত ১০টায় খুশিকে মিঠাছড়া বাজারে ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয় একজন পুলিশকে খবর দেন। পরে রাত ১২টায় খুশিকে আমি থানায় নিয়ে আসি। পরদিন উপজেলা সমাজসেবা অফিসকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপরই পুলিশ ও সমাজসেবা অফিস থেকে খুশির পরিবারের খোঁজ পেতে চালানো হয় তৎপরতা।

খুশির বাবা মহরম আলী বলেন, ‘খুশি, হাসি, জান্নাতুল ফেরদৌস ও মনিকা নামের চার সন্তান নিয়ে আমার সংসার। খুশি পত্রিকা বিক্রি করে। তিনদিন তাকে না পেয়ে আমরা পাগলের মতো খুঁজেছি। আজ তাকে কাছে পেয়েছি। পুলিশকে ধন্যবাদ আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।’

মিরসরাই উপজেলার সমাজসেবা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, আমরা খুশির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করি। পরে আদনান চৌধুরী নামের একজনের সহযোগিতায় আমরা খুশিকে তার মা-বাবার হাতে তুলে দিয়েছি।

এম মাঈন উদ্দিন/এসআর/এএসএম