ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

দিনাজপুরে হাজার কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা

জেলা প্রতিনিধি | দিনাজপুর | প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ২৪ মে ২০২৪

গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে রসালো লিচু। তবে এখনো পরিপূর্ণ লাল হয়নি। তারপরও ভালো দাম পেতে বাজারে লিচু তোলা শুরু করেছেন চাষি, বাগানি ও ব্যবসায়ীরা। দিনাজপুর শহরের লিচুর সবচেয়ে বড় বাজারসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে লিচু বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাদ্রাজি জাতের ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকায়। এছাড়া অন্য কোনো জাতের লিচুর দেখা মেলেনি। চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার লিচুর দাম ভালো।

‘লিচুর রাজ্য’ হিসেবে পরিচিত দিনাজপুর। সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন মোড়ে ও বাজারে সবুজ পাতা বিছিয়ে তার ওপর স্তূপ করে বিভিন্ন লিচু সাজিয়ে রেখেছেন চাষি ও বাগানিরা। চলছে বিক্রেতাদের হাঁকডাক।

দিনাজপুরে হাজার কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইকারিতে এক হাজার মাদ্রাজি লিচু বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৫০০ টাকায়। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২৫০০-৩৫০০ টাকা। অর্থাৎ ২৫০-৩৫০ টাকায় মিলছে ১০০ লিচু।

বাহাদুর বাজারের দিনাজপুর ফল ভান্ডারের মালিক লিটন হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজারে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু লিচু উঠতে শুরু করেছে। আমরা কিনে বিক্রি করছি। দামও ভালো। এই দাম থাকলে বাগানমালিক, চাষি, ব্যবসায়ী সবাই লাভের মুখ দেখতে পারবেন।’

তিনি বলেন, সপ্তাহখানেক পর বাজারে সব জাতের লিচু উঠবে। তখর লিচুর বাজার কেমন থাকে সেটাই দেখার বিষয়।

দিনাজপুরে হাজার কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা

শহরের বাসিন্দা শরিফ বলেন, ‘নতুন লিচু বাজারে উঠেছে। তাই কিনলাম। ১০০ লিচু ৩৫০ টাকায় কিনেছি। মাদ্রাজি লিচুর দানাও ভালো।’

একটি বীমা অফিসের কর্মচারী খায়রুল ইসলাম। বাহাদুর বাজারে এসেছিলেন লিচু কিনতে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজারে যে লিচু এসেছে তাতে এখনো পুরোপুরি রং আসেনি। তারপরও ৫০টি লিচু নিলাম ১৭০ টাকায়।’

শমসের আলী নামের আরেকজন বলেন, ‘বাজারে লিচু উঠেছে দেখে ছেলেমেয়েরা বায়না ধরেছিল। তাই কিনতে হলো। তবে দাম বেশি মনে হচ্ছে। ১০০ মাদ্রাজি লিচু নিলাম ৩৫০ টাকায়। যা গতবার ছিল ২০০ টাকা।’

দিনাজপুরে হাজার কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা

লিচু চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, আমার বাগানে মাদ্রাজি ও বোম্বাই লিচু আছে। এরমধ্যে মাদ্রাজি লিচু ভেঙেছি। এবার দাম ভালো পাচ্ছি। এরকম দাম থাকলেই চাষিরা লাভের মুখ দেখতে পাবেন।

গতবছর ৩০ টন লিচুর ফলন হয়েছিল জানিয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুজ্জামান বলেন, গতবার বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টন। এবার উৎপাদনে সেচ খরচ ও পরিচর্যা খরচ বেড়েছে। তাই দামও একটু বেশি হবে। আনুমানিক এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ কোটি টাকার লিচু বেচাকেনা হবে।

এমদাদুল হক মিলন/এসআর/এএসএম