দীপু মনি
ভাতা কার্ড দিতে টাকা নিলে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ভাতা কার্ড করে দেওয়ার নামে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে যারা এধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৩মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ইদানীং দেখা যাচ্ছে ভাতার সিম অনেকেই হাতিয়ে নেয় আবার অনেকেই হারিয়ে ফেলেন। আবার প্রতারক চক্র গড়ে উঠেছে। চক্রটি লোভনীয় কথা বলে রকেট, নগদ ও বিকাশের পিন কোড নিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। চক্রটির বিরুদ্ধেও মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আবার ভাতাভোগীদের সচেতন করতে নানা উদ্যোগও নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
পরে দুপুরে ভারতেশ্বরী হোমসের প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দি হলে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং ভারতের কেরালার প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ মেডিসিনের যৌথ উদ্যোগে স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালায় প্রধান অতিথিহিসেবে অংশ নেন। কর্মশালায় শিক্ষক, ডাক্তার, নার্স, ছাত্রী ও জনপ্রতনিধিরা অংশ নেন।
কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহার সভাপতিত্বে মন্ত্রী ডা. দিপু মনি ছাড়াও ট্রাস্টের পরিচালক একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রতিভা মুৎসুদ্দি, শ্রীমতি সাহা, বাংলাদেশ প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. নিজাম উদ্দিন, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি শিশির মোড়ল বক্তৃতা করেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নুরুল আলম, মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মর্কতা মোবারক হোসেন, দেলদুয়ার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌছালে কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহাসহ নার্সিং স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীরা ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এসময় মন্ত্রী কুমুদিনী হাসপাতালের আউটডোর ও কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ পরির্দশন করেন।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেডিকেল কলেজের ব্যারিস্টার শওকত আলী হলে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে ৭২ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সদের হাতে হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন মন্ত্রী।
সাটিফিকেটপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণার্থীরা ১৯ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত চারদিন ব্যাপী প্যালিয়েটিভ কেয়ারের ওপর প্রশিক্ষণ নেন। এতে সরকারি বিভিন্ন হাসাপাতালে ৩০ জন, বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের ৩০ জন এবং কুমুদিনী হাসপাতালে ১২ জন নার্স এ প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, মির্জাপুর পৌরসভার পাঁচটি ওয়ার্ডে ৩০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ৭৬ জন প্যালিয়েটিভ কেয়ারের প্রয়োজনীয় রোগী পাওয়া গেছে। নিরাময়যোগ্য নয় এবং মৃত্যুপথযাত্রী ব্যাথা যন্ত্রণামুক্ত যে সেবা প্রদান করা হয় তাই প্যালিয়েটিভ কেয়ার। আগামীতে কুমুদিনী হাসপাতালের উদ্যোগে এ উপজেলার বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের প্যালিয়েটিভ কেয়ারের বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হবে।
এস এম এরশাদ/এনআইবি/জেআইএম