ভারতের শুল্ক জটিলতায় পেঁয়াজ থেকে মুখ ফিরিয়েছেন ব্যবসায়ীরা
দীর্ঘ পাঁচ মাস পর পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরও সেদেশের নতুন শুল্ক জটিলতায় পেঁয়াজ আমদানি করছেন না বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারতের সকল শর্ত মেনে পেঁয়াজ আমদানি করলে বাজারে বর্তমান দামের চেয়ে অনেক বেশি পড়বে।
এদিকে আমদানির খবরে পেঁয়াজের দাম ওঠা-নামা করায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। শনিবার (১১ মে) সকালে হিলিবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। এছাড়াও প্রকার ভেদে ৪০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এই পেঁয়াজ কয়েকদিন আগে ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মো. মিজানুর রহমান বলেন, একমাস আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। গতকাল শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি। আর আজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি।
ষাটোর্ধ্ব আকরাম হোসেন বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে খবরে কাখনো পেঁয়াজ বিক্রেতারা পেঁয়াজের দাম কমিয়ে দিচ্ছেন। আবার যখন দেখছেন ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না, তখন বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সব সমস্যা আমাদের।
হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, দীর্ঘদিন পর ভারত সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আমাদের ব্যাংকে এলসি খুলে আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে শুনি ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
তিনি বলেন, ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করলে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা প্রতি কেজিতে খরচ পড়বে। একারণেই আমাদের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করছেন না।
মো. মাহাবুর রহমান/এফএ/এমএস