ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সিজারের পর মারা গেলেন মা ও নবজাতক, হাসপাতাল ভাঙচুর

জেলা প্রতিনিধি | নোয়াখালী | প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ০৫ মে ২০২৪

নোয়াখালীর মাইজদীতে ভুল অস্ত্রোপচারে নবজাতকসহ প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছেন।

শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

নিহত সীমা আক্তার (২১) বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের লন্ডন মার্কেট এলাকার জহির উদ্দিনের স্ত্রী এবং নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ সওদাগর বাড়ির মো. হারুনের মেয়ে।

নিহতের চাচাতো ভাই মো. নাঈমুর রহমান বলেন, শুক্রবার দুপুরে সীমাকে মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসক আশিকা কবির অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করান। কিন্তু অপারেশনের সময় তার জরায়ুর রক্তনালী কেটে ফেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।

পরে বিষয়টি গোপন রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠিয়ে দেয়। সেখানে নেওয়ার পর ডাক্তার সীমাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে তার নবজাতক সন্তানকে চট্টগ্রামে নিয়ে গেলে সেখানে তারও মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভাঙচুর চালান।

সিজারের পর মারা গেলেন মা ও নবজাতক, হাসপাতাল ভাঙচুর

মাইজদী আধুনিক হাসপাতালের চেয়ারম্যান রফিকুল বারী আলমগীর ভাঙচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ নিয়ে আমরা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বসেছি। কোনো ডাক্তারই ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় না।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে গভীররাত পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত নাঈমা জাবিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে রোগীর স্বজন, সাংবাদিক ও স্থানীয় প্রভাবশালীদেরকে টাকার বিনিময়ে মেনেজ করেছেন। তাই এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/এমএস