নিহত ১৫
ফরিদপুরের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার ৪ কারণ জানালো তদন্ত কমিটি
ফরিদপুর শহরতলীর কানাইপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহতের ঘটনায় প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত কমিটি। এতে চারটি কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে- ঈদের পরে বাস চালকের দীর্ঘ সময় গাড়ি পরিচালনায় ক্লান্তি আর চোখে ঘুম, দুটি যানের অধিক গতি, মহাসড়কে নিজস্ব লেনে ব্রেক করা ও মহাসড়কে অটোরিকশার উপস্থিতি।
রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সিদ্দিকীকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান জানান, গত ১৬ এপ্রিল সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা দিকনগর এলাকায় ঢাকা থেকে খুলনাগামী উত্তরা ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পিকআপে থাকা নারী, পুরুষ, শিশুসহ ১১ জন মারা যান। আহত হন ৭ জন। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও ৪ জন। এ ঘটনায় নিহত ইকবাল হোসেনের বড় ভাই এনামুল হক বাদী হয়ে চালককে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ জন নিহতের ঘটনায় বাস চালককে আটক করেছে র্যাব-১০।
এ বিষয়ে সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় র্যাব ১০, সিপিসি ৩, ফরিদপুর ক্যাম্পে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। র্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুরের কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করবেন বলে জানানো হয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে বাস-পিকআপের সংঘর্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত ইকবাল হোসেনের বড় ভাই এনামুল শেখ বাদী হয়ে যাত্রীবাহী বাসের চালককে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এন কে বি নয়ন/এফএ/এমএস