এমপি রানার মামলা পুনঃতদন্তের আবেদনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া
আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মদ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি এমপি আমানুর রহমান খান রানা তার মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে না পাঠিয়ে পুনঃতদন্ত করার অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা নিয়ে টাঙ্গাইল জুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সরকার দলীয় এমপির এ আবেদনে নিজ দলসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।
জেলা আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা বলেন, হত্যা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর আত্মসমর্পণের বিপরীতে মামলা পুনঃতদন্তের আবেদনটি সম্পূর্ণ আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়। সাংসদ রানা এ আবেদনের মাধ্যমে তাদের নিরাপরাধী সাজানোর চেষ্টা নাকি, জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালিয়েছেন এমন প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে নিহতের স্ত্রী নাহার আহম্মদ বলেন, নাম অজ্ঞাত রেখে ফারুক আহম্মদ হত্যা মামলাটিতে তিনি করেন। সুষ্ঠু পুলিশি তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত হত্যাকারীরা চিহ্নিত হয়েছে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক খন্দকার আশরাউজ্জামান স্মৃতি বলেন, পুলিশি তদন্তে বের হয়ে আসা ফারুক আহম্মদ হত্যা মামলার রহস্য ও প্রকৃত হত্যাকারী চিহ্নিত হয়েছে। মামলার প্রকৃত আসামি চিহ্নিত হওয়ার পর পুনঃতদন্তের আবেদন ভিত্তিহীন বলে মনে করেন তিনি।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের বলেন, আসামিপক্ষের মামলা পুনঃতদন্তের আবেদন করার কোনো সুযোগ নেই। শুধুমাত্র মহামান্য আদালতই মামলা পুনঃতদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করতে। তবে পুলিশি তদন্তে ফারুক আহম্মদ হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারী চিহ্নিত হয়েছে বলেই দাবি তার। জেলা পুলিশের তদন্ত নিয়ে বিতর্কিত করার কোনো সুযোগ নেই বলেও মনে করেন তিনি।
এমএএস/এবিএস