বগুড়ায় স্বামীর গলায় চাকু ঠেকিয়ে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
বগুড়ার গাবতলীতে স্বামীর গলায় চাকু ঠেকিয়ে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর (২১) করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই গৃহবধূকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে উপজেলার মহিষাবানের পোড়াদহ লোহার ব্রিজ এলাকায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। পরে রাত ২টার দিকে মামলা করেন তিনি। শুক্রবার ভোরে অভিযুক্তদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন মো. রাব্বি, আব্দুল অহেদ, মো. হৃদয়, নুর আলম ওরফে নিশাদ ও মো. কাউছার। তারা সবাই গাবতলী উপজেলার মহিষাবান মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আজ দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া শহরের কলোনি এলাকার বাসিন্দা এক ইজিবাইক চালক তার স্ত্রীকে নিয়ে সারিয়াকান্দি প্রেম যমুনার ঘাটে বেড়াতে যান। ঘোরাফেরা শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ইজিবাইকে করে তারা বগুড়া শহরের দিকে ফিরছিলেন। পথে গাবতলীর মহিষাবান ইউনিয়নের পোড়াদহ এলাকায় আসামিরা তাদের ইজিবাইক ঘিরে ধরেন। পরে ধারালো অস্ত্র গলায় ঠেকিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে পাশেই ইছামতি নদীর তীরে সিঙ্গার বিলের পতিত জমিতে নিয়ে যান। সেখানে ওই গৃহবধূর স্বামীর গলায় চাকু ঠেকিয়ে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তারা।
গাবতলী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ও গ্রেফতার পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসআর