যানজট কমতে শুরু করেছে গাজীপুরের দুই মহাসড়কে
খালি হতে শুরু করেছে গাজীপুরের কলকারখানা। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গত দুদিনে লাখ লাখ পোশাকশ্রমিক জেলা ছেড়ে গেছেন। গাজীপুরের পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট অনেকটাই এখন ফাঁকা।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগরা বাইপাসের আশপাশের এলাকায় যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। দুপুরের দিকে সড়ক পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়। দুই মহাসড়কের কোথাও উল্লেখ করার মতো যানজট নেই।
সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতের যানজটের ধকল সয়ে বেশিরভাগ যাত্রী নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারলেও সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। যাত্রীর তুলনায় পর্যাপ্ত যানবাহন না পেয়ে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও বাসের ছাদে যাচ্ছেন। এ সুযোগে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় গাড়িভাড়া ক্ষেত্রবিশেষে দ্বিগুণেরও বেশি দাবি করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
আরও পড়ুন
চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে নবীনগর রোডে দীর্ঘ যানবাহনের সারি দেখা গেছে। তবে যানজট নেই। এসব পরিবহন চলছে ধীরগতিতে। কালিয়াকৈরমুখী এবং চন্দ্রা ফ্লাইওভারেও যানবাহন চলছে থেমে থেমে।
অন্যদিকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগরা বাইপাসে যানবাহনের চাপ রয়েছে। মহাসড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য দিনরাত কাজ করছেন।
পুলিশ, যাত্রী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার শিল্পকারখানা ছুটি ঘোষণা হলে দুপুরের পর থেকে মহাসড়কে ব্যাপকভাবে ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। অতিরিক্ত মানুষ আর যানবাহনের চাপে বিকেল থেকেই শুরু হয় যানজট। ইফতারের পর সেই যানজট আর মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। এরপর থেমে থেমে যানবাহন চললেও মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত একই অবস্থা দেখা যায় মহাসড়ক দুটিতে।
আরও পড়ুন
আজ সকাল ৯টার পর থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ও আশপাশ এবং গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগাড়সহ আশপাশের এলাকায় থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। এসব এলাকায় আজও শত শত ঘরমুখী মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, গতরাতে বেশ যানজট থাকলেও রাত ২টার পর থেকে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। তবে সকাল থেকে আবার যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। এখন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, চন্দ্রাকে কেন্দ্র করে সারারাত যানবাহনের ধীরগতি থাকলেও সকালে কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বিকেলের মধ্যে চাপ অনেকটা কমে যাবে।
আমিনুল ইসলাম/এসআর/এমএস/এএসএম