সুস্থ হয়ে আকাশে ডানা মেললো ৮ শকুন
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে চিকিৎসা ও নিবিড় পরিচর্যা শেষে আটটি শকুন মুক্ত আকাশে ডানা মেলেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া জাতীয় উদ্যানের পরিচর্যা কেন্দ্রে এসব শকুন অবমুক্ত করা হয়।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তীব্র শীত থেকে রক্ষা পেতে ও খাবারের খোঁজে এসব শকুন হিমালয়ের পাদদেশে আসে। সেখানেও খাবার না পেয়ে তারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় লোকালয়ে বিচরণ করে। একপর্যায়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এসে শকুনগুলো অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে সেগুলো উদ্ধার করে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে শকুন পরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।
২০১৪ সালে বন বিভাগ ও আইইউসিএনের যৌথ উদ্যোগে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে শকুন পরিচর্যা কেন্দ্র তৈরি করা হয়। এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শকুন পরিচর্যা শেষে সুস্থ করে এ কেন্দ্র থেকে ২৫৭ টি শকুন অবমুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইইউসিএনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজী জেনিফার আজমিরি বলেন, দেশে সাত প্রজাতির শকুন পাওয়া যায়। এর মধ্যে দুই প্রজাতির আবাসিক শকুন আর বাকিগুলো পরিযায়ী। এদরে ভেতর আবার রাজ প্রজাতির শকুন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পরিযায়ী প্রজাতির মধ্যে হিমালয়ান গ্রিফন জাতের শকুন খাবারের খোঁজে সীমান্ত পেরিয়ে আমাদের দেশে চলে আসে। দীর্ঘপথ পাড়ী দিয়ে আসতে আসতে অসুস্থ হয়ে পড়া এসব শকুন দেশের বিভিন্ন স্থানে পড়ে যায়। খাবারের অভাব ও উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে শকুনের সংখ্যা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল-মামুন বলেন, সীমান্ত পেরিয়ে যেসব শকুন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অসুস্থ হয়ে পড়ে সেগুলো উদ্ধার করে এখানে এনে রাখা হয়। চিকিৎসা শেষে সেসব শকুন অবমুক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার আটটি শকুন অবমুক্ত করা হয়েছে।
এসময় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল-মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) সিনিয়র প্রোগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজী জেনিফার আজমিরি, সাকিব আহম্মেদ, ধর্মপুর বিট কর্মকর্তা মহসিন আলী, সিংড়া বিট কর্মকর্তা গোয়া প্রসাদ পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমদাদুল হক মিলন/এনআইবি/জেআইএম