ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কারখানায় ছুটি চেয়েও না পেয়ে অবশেষে মারা গেলেন অসুস্থ নারী শ্রমিক

জেলা প্রতিনিধি | গাজীপুর | প্রকাশিত: ০৮:২২ এএম, ০২ এপ্রিল ২০২৪

গাজীপুর জেলার সদর উপজেলাধীন মির্জাপুর ইউনিয়নের তালতলী এলাকায় একটি কারখানায় কাজ করার সময় এক নারী শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। পরে বিকেলে কারখানা ছুটির পর তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।

মৃত্যুবরণকারী হাসিনা বেগম (৩৫) পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার দেবহাট এলাকার ভাসান আলীর মেয়ে। তিনি জয়দেবপুরের তালতলী এলাকায় কারখানার পাশেই একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইবরাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানাধীন মির্জাপুর ইউনিয়নের বিকেবাড়ী তালতলী এলাকায় সিলভার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডে সুইং শাখায় কাজ করতেন হাসিনা বেগম। তিনি অন্যান্য দিনের মতো সোমবারও (১ এপ্রিল) সকাল পৌনে সাতটার দিকে কারখানায় প্রবেশ করেন। সেখানে কাজ করার সময় দুপুরের দিকে তিনি অসুস্থ বোধ করলে ছুটি চান। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাকে ছুটি দেয়নি। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কারখানা ছুটি হলে তিনি কারখানা থেকে বের হয়ে আরও অসুস্থবোধ করেন। পরে তাকে তালতলী এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কারখানার অন্য শ্রমিকরা প্রতিবাদ করে কারখানার সামনে অবস্থান নেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

কারখানায় ছুটি চেয়েও না পেয়ে অবশেষে মারা গেলেন অসুস্থ নারী শ্রমিক

এ ব্যাপারে সিলভার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার জন্য কারখানার সামনে গেলে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইবরাহিম খলিল জানান, কারখানার ভেতরে কাজ করার সময় এক নারী শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারখানায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু ছুটি দেওয়া হয়নি। পরে কারখানা ছুটির পর তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গিয়ে সেখানে মারা যান। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলেও পরে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনায় বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। কারখানার মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাফন কাফনের জন্য ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরে নিহতের স্বজনরা মরদেহ নিয়ে দেশের বাড়ি চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে দেশের বাড়ি চলে গেছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এফএ/জেআইএম